শুক্রবার, ২৯শে জুন, ২০১৮ ইং ১৫ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে: শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। শতকরা ৯৯ শতাংশ শিশু এখন বিদ্যালয়ে আসছে। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। সারা পৃথিবীতে এটি একটি অতুলনীয় উদাহরণ।

বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। শতকরা ৯৯ শতাংশ শিশু এখন বিদ্যালয়ে আসছে। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। এটি সারা পৃথিবীতে একটি অতুলনীয় উদাহরণ। এর ফলে দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় উৎসাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের প্রতিযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, গত ৯ বছরে সরকার মাদ্রাসা তথা ইসলামি শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের মধ্যে বেতনের সমতা বিধান করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষা বোর্ড ও অধিদফতর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের শত বছরের দাবি পূরণ করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। গত ৯ বছরে ২ হাজার নতুন মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ২ হাজার ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য তিনি আলেম সমাজের প্রতি ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় করা হয়েছে। মাদ্রাসায় কোরান-হাদিস ও ফিকাহ বিষয়ের সঙ্গে আইসিটি ও বিজ্ঞান পড়ানো হয়। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা ও সরকারি চাকুরির সুযোগ পাচ্ছে।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশাহ।

পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কারের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের মধ্যে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email