রবিবার, ১লা জুলাই, ২০১৮ ইং ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

সরকার বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। তারা যত কূটকৌশলই অবলম্বন করুক না কেন বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবে জনগণ।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরাসরি সহায়তায় সরকার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরেকটি প্রতারণার নির্বাচন উপহার দিলো। এই নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ তৃপ্তির ঢেকুর তুললেও দেশে-বিদেশে এটি কলঙ্কিত নির্বাচনের আরেকটি ইতিহাস হয়ে রয়ে গেল।
তিনি বলেন, জিসিসি নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে সরকার বেশ কয়েকটি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে এরমধ্যে ম্যানিপুলেশন, আতঙ্ক সৃষ্টি করা, পুলিশের এসপি’র ভোট ডাকাতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ, ভোটারদের মনে ভয় সৃষ্টিতে পোশাকধারি ও সাদা পোশাকধারিদের বেপরোয়া কার্যকলাপ, ভয় দেখিয়ে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার গাজীপুর ও খুলনাতে যে নাটক মঞ্চস্থ করছে, তাতে ভবিষ্যতে ভোটার’রা ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। জিসিসি নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা ছিল না, স্বাধীনতা ছিল শুধুমাত্র সরকারী যন্ত্রের, যারা ভোটারদের মনে ভয় সৃষ্টি করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব নির্বাচনের পরপরই চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন-গাজীপুরে ৯টির বেশী কেন্দ্রে অনিয়ম কেউ দেখাতে পারবে না। কাদের সাহেবকে বলতে চাই-গতকাল ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে-গাজীপুরে ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আর আমরা বলতে চাই-আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে, গাজীপুরে প্রায় সকল কেন্দ্র দখল করে জালভোটের মহৌৎসব চলেছে।
আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবের উদ্দেশ্যে বলবো-আপনারা বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জনগণের সঙ্গে যে উপহাস ও তামাশা করছেন তার জবাব জনগণের নিকট দিতেই হবে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার অপরাধে আপনাদের বিচার আর বেশী দিন বিলম্ব হবে না। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে নির্বাচন ও ভোটকে যাদুঘরে পাঠানোর সকল বন্দোবস্ত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার চরম মূল্য দিতে হবে সিইসি-কে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিঃশর্ত মুক্তি ও অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় গতকালও তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। গুরুতর অসুস্থতার কারণে কারা চিকিৎসকরা তাকে আদালতে হাজির না করার পরামর্শ দেয়, সেজন্য পুলিশ তাকে হাজির করেনি। আমি অবিলম্বে তার কারা মুক্তি ও চিকিৎসার দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
Print Friendly, PDF & Email