‘রোগীর শরীরে প্রেতাত্মা’, বেদম পেটালেন ওঝা, অতপর…
কয়েক দিন ধরে অসুস্থ বোধ করছিলেন আসাদুল্লাহ শেখ। কিন্তু তিনি ডাক্তারের বদলে ভালো চিকিৎসার আশায় যান পাশের গ্রামের ওঝার কাছে। ওঝা দেখেশুনে বললেন, ‘তাকে ভূতে ধরেছে।’
চিকিৎসা শুরু হলো। ভূত তাড়াতে ঝাড়ফুঁকের নামে রোগীকে থাপ্পড় মারা, চুল টানার সঙ্গে চলল বেদম মারধর। এক পর্যায়ে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যান ওঝা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি আসাদুল্লাহর।
মুমূর্ষু অবস্থায় পরিবারের লোকজন আসাদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করালেও, শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি।
আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহের পুরাতন মালদহ ব্লকের যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের হালনা মোহপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আসাদুল্লাহ শেখ। যদিও তার মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি পুলিশও।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বেশ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আসাদুল্লাহ। স্থানীয় চিকিৎসকদের চিকিৎসা কাজে না আসায় তার স্ত্রী লাকি বিবি তাকে নিয়ে যান ওঝার কাছে।
পরিবারের দাবি, ওঝা আসাদুল্লাকে দেখেই জানিয়ে দেন যে, ‘রোগীর শরীরে প্রেতাত্মা বাসা বেঁধেছে। ভূতে ধরেছে।’ চিকিৎসার নামে পরে ওঝা প্রায় একঘণ্টা ধরে আসাদুল্লাহর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালান। গ্রামের অনেকের সামনেই থাপ্পড়, মারধর, চুল টানা এসব চলতে থাকে। এক পর্যায়ে আসাদুল্লাহ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে পালিয়ে যান ওঝা।
আসাদুল্লাহর বাবা কেরামন শেখ বলেন, ‘ওঝার ওই মারধরের পরই আসাদুল্লাহ মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। আমরা রাতেই ছেলেকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু পরদিন ছেলে মারা যায়।’