‘স্যার, করাত দিয়ে বউয়ের গলা কেটে হত্যা করেছি’
সকাল সাড়ে ৭টা। ভারতের সোনারপুর থানায় কর্তব্যরত একজন কর্মকর্তার সামনে হাজির এক ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার পর ওই কর্মকর্তার কাছে তার স্বীকারোক্তি, স্যার, আমি বউকে খুন করে ফেলেছি।
তিনি আরো বলেন, স্যার, করাত দিয়ে বউয়ের গলা কেটে হত্যা করেছি। সন্ন্যাসী দাস পেশায় ভ্যানচালক। বৃহস্পতিবার সকালে আগন্তুকের এ ধরনের স্বীকারোক্তি শুনে প্রথমে খানিকটা হকচকিয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই ব্যক্তিকে বসতে বলে তার বক্তব্য শুনতে চান পুলিশ কর্মকর্তা। সব শোনার পরে সন্ন্যাসীকে সঙ্গে নিয়ে সুভাষগ্রামের ধানমাঠ এলাকায় তার বাড়িতে যান। পৌঁছে দেখেন, দরজার সামনেই পড়ে রয়েছে মঞ্জু হালদার (৩৫) নামে ওই নারীর রক্তাক্ত মরদেহ। পাশে ছোট করাতটি! দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এর পরেই সন্ন্যাসীকে আটক করা হয়। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে সোনারপুর থানা পুলিশ।
আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সন্ন্যাসী স্বীকার করেছেন, ছোট করাত দিয়ে মঞ্জুর গলার নলি কেটে খুন করেছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান প্রথমে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে মঞ্জুকে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন সন্ন্যাসী। তার পরে করাত দিয়ে গলা কেটে দেন। কিন্তু কী কারণে খুন, তা অবশ্য এখনো পুলিশের কাছে স্পষ্ট করে জানাননি সন্ন্যাসী।
পুলিশ জানায়, ভাঙড় থানা এলাকার বাসিন্দা সন্ন্যাসী গত পাঁচ বছর ধরে ধানমাঠ এলাকায় মঞ্জুর সঙ্গে বাড়িভাড়া নিয়ে থাকতেন। মঞ্জুর বাড়ি যাদবপুর এলাকায়। সোনারপুর এলাকায় তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন।
পুলিশকে সন্ন্যাসী জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগে নিজেদের সংসার ছেড়ে দু’জনে সুভাষগ্রামে চলে আসেন। সেখানেই মঞ্জুর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সন্ন্যাসী। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এলাকায় নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলেই পরিচয় দিতেন সন্ন্যাসী। তবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না। অধিকাংশ সময়ে বাড়ির বাইরে থেকে ওই দম্পতি রাতে এক সঙ্গেই ফিরে আসতো। অনেক সময়েই দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হত বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।