চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের চিত্র ভিডিও!
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষকরা দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মোবাইলে ধারকৃত দৃশ্যটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় ছাত্রীর পরিবারকে। এ ঘটনায় মূল ধর্ষকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-উত্তর পাথালিয়ার হাসান আলীর ছেলে মজনু (২৭) এবং তার সহযোগী জোছনা বেগম (৪০)। পরে তাদেরকে আজ শুক্রবার (২৯ জুন) সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।
আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী নানীর কাছে থেকে লেখাপড়া করতো। গত ১৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী উত্তর পাথালিয়া গ্রামের পড়শি ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু এবং শামসুল হকের ছেলে সোহাগ ওই স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটকিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এ সময়ে তারা গণধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় ওই ছাত্রীর দরিদ্র নানী সাহেরা বেগম ঘটনাটি চেপে যান। স্থানীয় হাসপাতালে গোপনে ধর্ষিতার চিকিৎসা নেওয়া হয়।
শিশুরটির মা অভিযোগ করে বলেন, তাদের দারিদ্র্যের ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুণরায় শিশুটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসে ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় শিশুটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিশুটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। এ মতাবস্থায় ধর্ষকরা গত ৯ জুন ধর্ষকের নানী বাড়ি গিয়ে নানী সাহেরা বেগমের হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসাবে মোবাইলের মেমোরি কার্ড তুলে দেয় এবং দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে এ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখায় ধর্ষকরা।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুর মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে ধর্ষক মজনু এবং তার সহযোগী জোছনা বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর ধর্ষক সোহাগ পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পরে তাদেরকে শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়।