রবিবার, ১লা জুলাই, ২০১৮ ইং ১৭ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

অভিবাসন বিষয়ক চুক্তিতে একমত হয়েছেন ইইউ নেতারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিবাসন বিষয়ক চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের(ইইউ) নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ইইউ নেতাদের অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে আলোচনা শেষে বহু মতভেদের পরে ইউরোপের অভিবাসন সংকট সমাধানে একমত হতে পেরেছেন তারা। খবর বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট।

ব্রাসেলসের বৈঠকে নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে সবচেয়ে অনিচ্ছুক ছিল ইতালি। তারা জানিয়েছে, ইইউ যদি তাদের এই ইস্যুতে সাহায্য না করে তাহলে তারা ইইউ’র পুরো এজেন্ডাতেই ভেটো দিবে।

বৃহস্পতিবার থেকে বৈঠক শুরু হলেও সেদিন কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি ইইউ নেতারা। আজ শুক্রবার সকালের দিকে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর তারা চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।

নেতারা জানিয়েছেন, স্বাধীনভাবে ইইউ দেশগুলোতে নতুন অভিবাসন কেন্দ্রগুলো খোলা যেতে পারে। এই কেন্দ্রগুলো অভিবাসীদের যাচাই করে ঠিক করবে কারা সত্যিকারের শরণার্থী আর কারা অনিয়মিত অভিবাসী। অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে।

আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা

কিন্তু কোন কোন দেশ এরকম কেন্দ্র খুলতে ইচ্ছুক সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ দেশগুলোর ভেতরে আশ্রয়প্রার্থীদের চলাচল সীমাবদ্ধ করে দেয়া হবে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী গিউসেপ্পে কন্তে বলেন, এই ইউরোপীয় সম্মেলনের পর, ইউরোপ আরও দায়িত্বশীল ও আরও সংহতিপূর্ণ। আজ ইতালি আর একা নেই।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের জন্য এই সম্মেলন অন্যান্য নেতাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার জন্য এই চুক্তিটি অন্যান্য নেতাদের চেয়ে বেশি তাৎপর্য বহন করে। তিনি অভিবাসন ইস্যুতে ইইউ নেতাদের ঐকমত্য চেয়েছিলেন।

২৮টি দেশের নেতারা একমত হয়েছেন যে তাদের সীমান্ত আরও জোরদার করতে হবে। তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে আর্থিক সহায়তা বাড়াতে হবে।

জার্মানিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় দিয়ে চাপে আছেন মার্কেল। তার অভিবাসন নীতি নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটে তার সরকার পতনও হতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email