শিশুদের নাম রাখার সময় ৪ টি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
সন্তান জন্মলাভ করার পর নবজাতক বা জাতিকার নাম রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ সময় আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো-
১. প্রথমেই এটা অনুধাবন করা যে, সন্তান এ নামটি আজীবন ধারণ করবে। এ নামের কারণে যেন তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতি ও সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়। পিতার প্রতি বা মাতার প্রতি কিংবা যে ব্যক্তি তার নামটি রেখেছে সে ব্যক্তির প্রতি তার খারাপ মনোভাব যেন না হয়।
আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা
২. অনেকগুলো নামের মধ্য থেকে সন্তানের জন্য একটি নাম নির্বাচন করার সময় কয়েকটি দিক বিবেচনা করা উচিত। স্বয়ং নামটি উপযুক্ত কিনা? এ নামটি একজন শিশুর নাম, একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবকের নাম, একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি ও পিতার নাম হিসেবে কেমন হবে? এ নাম দিয়ে উপনাম তৈরী করলে (অমুকের পিতা) কেমন হবে? পিতার নামের সাথে মিলিয়ে লিখলে (অমুক বিন অমুক) কেমন হবে? ইত্যাদি।
৩. সন্তানের নাম রাখা পিতার শরয়ি অধিকার। যেহেতু পিতার দিকে সন্তানকে সম্বন্ধিত করা হবে। কিন্তু পিতার জন্য মুস্তাহাব হচ্ছে নাম নির্বাচনে মাকেও অংশীদার করা এবং মায়ের মতামত নেয়া যাতে করে নামটি সুন্দর হলে মা এতে সন্তুষ্ট থাকেন।
৪. সন্তানকে তার পিতার দিকেই সম্বন্ধিত করা ওয়াজিব; পিতার মৃত্যু হলেও কিংবা তালাকদাতা হলেও। এমনকি পিতা যদি সন্তানের প্রতিপালনের দায়িত্ব না নেয় কিংবা আদৌ তাকে না দেখে তবুও। সন্তানকে তার পিতা ছাড়া অন্য কারো সন্তান হিসেবে পরিচয় দেয়া হারাম; শুধুমাত্র এক অবস্থা ছাড়া। সেটা হচ্ছে, যদি ব্যভিচারের কারণে কোন সন্তানের জন্ম হয়। (আমরা আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি) সেক্ষেত্রে সন্তানকে তার মায়ের দিকে সম্বন্ধিত করা হবে। তাকে তার পিতার দিকে সম্বন্ধিত করা জায়েয হবে না।