হুজুর মুখ চেপে ধরে রাখতো, জোর করতো, আমরা কাঁদতাম
‘হুজুর মুখ চেপে ধরে রাখতো। জোর করতো। তারপর আমরা কাঁদতাম। আমরা বলতাম, বাবা-মাকে বলে দেব। আমাদের বলতো, তোরা পাগল হয়ে যাবি। তোদেরকে জাদু করে পাগল বানিয়ে ফেলব। এসব ঘটনা কাউরে বলবা না।’ এভাবেই এক শিক্ষকের বিরুদদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করলেন এক ছাত্রী।
লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক তোফায়েল আহমদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন ছাত্রী। শুধু এই এক ছাত্রীই নয় আরও ৩০ জন ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
আরও : ২৫ বছরে যেসব টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্টিনা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বছর আগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান মাছিম নগর গ্রামের তোফায়েল আহমদ। ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের আরবি প্রাইভেট পড়ান। এই সুবাদে ধর্মের দোহাই দিয়ে শিক্ষকের কথা মানতে বাধ্য করে ৩০ জন ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এক স্থানীয় শিক্ষক জানান, ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী একই অভিযোগ এনেছে।এটি অবশ্যই শতভাগ সত্য ঘটনা।
ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাজান আলি।
তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে আরও বেশি তদন্ত করব। অনুসন্ধান করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।