শুক্রবার, ২৯শে জুন, ২০১৮ ইং ১৫ই আষাঢ়, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

পাস্তুরিত সকল তরল দুধের মান নিয়ন্ত্রণে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে পাওয়া পাস্তুরিত সকল তরল দুধের মান পরীক্ষার (নিয়ন্ত্রণ) জন্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, ডেইরি মাইক্রোবায়োলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজি ও প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রতিনিধি, ফুড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের সহযোগী গবেষক ও প্রধান ড. মো. আমিনুল ইসলাম, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, বিএসটিআই’র বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি, ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ডা. কুলসুম বেগম চৌধুরী, বিএসটিআই’র বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব আবু সহিদ ছালেহ মো. জুবেরী।

কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, গঠিত এ কমিটি বাজারের সব পাস্তুরিত দুধের অস্তিত্ব ও উৎস চিহ্নিতকরণ এবং এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরূপণ, বাজারে পাস্তুরিত দুধ বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থার ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবেন। কমিটিকে আনুষঙ্গিক সকল ধরনের সহায়তা দেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ কমিটি গঠনের বিষয়টি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করার জন্য ৬ মাস সময় আবেদন করা হয়। পরে আদালত এক মাস সময় দেন।

গত ২১ মে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি করে বাজারে প্রাপ্ত পাস্তুরিত তরল দুধ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে খাদ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও বিএসটিআইটি কর্তৃপক্ষকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিল।

আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২১ মে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল বাজারের পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে একটি প্রতিবেদনটি দাখিলের জন্য।

হাইকোর্টের এ সংক্রান্ত আদেশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। সেই বিষয়টি তারা আদালতকে অবহিত করে প্রতিবেদন তৈরির জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন। এরপর আদালত ৩০ দিন সময় দেন। এখন এ সময়ের মধ্যে বাজারের সব পাস্তুরিত দুধের মান পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ২১ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাজারে প্রচলিত সব পাস্তুরিত দুধের মান যাচাইয়ের নিমিত্তে একটি কমিটি গঠনের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে বাণিজ্যিকভাবে পাস্তুরিত দুধ সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়েরিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর’বি) একটি গবেষণাপত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।

Print Friendly, PDF & Email