আশুগঞ্জ চর সোনারামপুরের শিক্ষার্থীদের দিনের আলোয় একমাত্র সম্বল
---
সন্তোষ চন্দ্র সূত্রধর, আশুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চর সোনারামপুরের স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা দিনের আলোয় প্রতিদিনের পড়াশুনার কাজটুকু সেরে নিচ্ছে। বিদ্যুৎতের কাছে তারা হার মানতে চায় না। যদিও চোখের সামনে বিদ্যুৎতের আলোর জলমল রশ্মি দেখা যায় তবু রাতের বেলায় তেলের (কুপি) প্রদীপ ব্যববহার করে পড়াশুনার প্রাত্যহিক কাজটুকু সেরে নেয় তারা। ব্যয়বহুল তেল সংরক্ষনের জন্য তারা অধ্যয়নে জন্য দিনের আলোয় বেছে নিচ্ছে । যদিও কিছু কিছু স্বচ্ছল পরিবার সৌর প্যানেল ব্যবস্থা থাকলেও রাতের বেশি সময় এই আলো ব্যবহার করে পড়াশুনার কাজ টুকু করা যাচ্ছে না বলে জানান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার দ্যুতি ছড়াতে চর সোনারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষরতার হারও অতীতের চেয়ে বেশি বেড়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
চর সোনারামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ছেলে ও মেয়েরা স্কুলে পড়াশুনা করে। তারা আধুনিক জ্ঞান অর্জনে গভীর আগ্রহী। কিন্তু বিদ্যুৎতের কারনে বিদ্যালয়ে তাদের অধ্যয়ন কঠোরভাবে ব্যাহত হয় এবং এই কারণেই তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চন্দন কুমার সূত্রধর বলেন, চর সোনারামপুরের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবে, তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তারা চরের লোকদের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্প উপায় খুঁজতে চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য যে, শতবর্ষী এই আশুগঞ্জ চর সোনারামপুরে বর্তমানে প্রায় ৮০০০ মানুষ এই বসবাস করে। অধিকাংশ পরিবারই দরিদ্র এবং মাছ ধরার (জেলে) পেশাতে নিযুক্ত।