g আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ করের জটিলতা কাটছে না | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মঙ্গলবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০১৭ ইং ৩০শে কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভ্রমণ করের জটিলতা কাটছে না

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ১১, ২০১৭

---

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভ্রমণকর নিয়ে জটিলতা কাটছে না। ভ্রমণ কর নিয়ে ছুটির দিনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না যাত্রীদের।

আগে থেকে ভ্রমণ কর জমা না দেওয়ায় শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেলা ১২টা নাগাদ যাত্রীরা আটকে ছিলেন। পরে যাত্রীদের দাবির মুখে একাধিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ ভ্রমণ কর আদায় করা হয়।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতে যাওয়ার পথে সব ধরনের নাগরিকদের ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর দিতে হয়। সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত রশিদের মাধ্যমে এ ভ্রমণকর জমা দিয়ে এর একটি কপি কাস্টমসকে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে যাত্রীদের সুবিধার্থে ব্যাংকে জমা দেওয়ার আবেদনের মাধ্যমে নগদ টাকা রেখে যাওয়ার সুযোগ চালু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের কাছ থেকে রাখা নগদ টাকা পরে ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ কাটে কাস্টমস। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে রাখা নগদ টাকায় সঠিকভাবে ব্যাংকের রশিদ কাটা হয় না বলে বলে অভিযোগ উঠে।

এ ছাড়া অনেক যাত্রীর কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত হারে টাকা নেওয়ার অভিযোগও ওঠে কাস্টমসের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কাস্টমস ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে বিশেষ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

গত ২৪ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের জে এম শাখার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক আদেশে জানান, সোনালী ব্যাংকে  নির্ধারিত রশিদ কিংবা ১-১১৪১-০১৩০-০৯১১ নম্বরে ৫০০ টাকার চালান ছাড়া ভারতে ভ্রমণ বিলম্বিত হতে পারে।

কাস্টমসের এসআই মো. আবুল কাসেম জানান, শুক্রবার অনেক যাত্রী ভ্রমণ কর না নিয়ে এলে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় যাত্রীরাই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বেলা ১২ থেকে পৌনে ১টা নাগাদ ৬১ জনের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করা হয়।

স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার কুণ্ডু আজ শুক্রবার বিকেলে বলেন, “অনেক আগে থেকেই নগদ টাকা রেখে পরে ব্যাংকের রশিদ কাটার রেওয়াজ রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থেই এটা করা হতো। এ নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তা বন্ধ রাখা হয়। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই মেনে চলা হবে। “

এ জাতীয় আরও খবর