শুক্রবার, ২রা নভেম্বর, ২০১৮ ইং ১৮ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তির এই যুগে স্মার্টফোনের ব্যাপক প্রসার ঘটছে। বর্তমানে সবার হাতে-হাতেই ডিভাইসটি দেখা যায়। কিন্তু শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া কী ঠিক? এ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে অনেকে, অনেক কথা বলে থাকেন। তবে বেশিরভাগের মত হলো শিশুর হাতে স্মার্টফোন না দেয়া।

অন্যদিকে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেবেন কত বছর বয়সে, এটা নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। তবে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস মনে করেন, শিশুর হাতে কোনওভাবেই স্মার্টফোন দেয়া যাবে না। আর সন্তানের হাতে এই ডিভাইস দিতে হবে ১৪ বছরের পর।

এ সম্পর্কে তিনি বলনে, বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন খুব সহজ কাজ নয়। অভিভাবকরাই ঠিক করবেন একজন শিশুর বেড়ে ওঠা কেমন হবে। তাই শিশুর হাতে কখন মোবাইল তুলে দেবেন, সে সিদ্ধান্তও অভিভাবকের।

তিনি শুধু অন্যদের পরামর্শ দেননি। নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রেও এ বিষয়ে সতর্ক ছিলেন বিল গেটস। তার তিন সন্তানের বয়স যথাক্রমে ২০, ১৭ ও ১৪। এদের কেউই হাইস্কুলে ওঠার আগে মোবাইল হাতে পাননি।

অনেক বাবা-মা বলে থাকেন, শিশুর কান্না থামাতে তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া হয়। কিন্তু এমনটি না করাই ভালো। আপনি শিশুর ভালো চাইলে অন্য কোনও উপায়ে তার কান্না থামানোর চেষ্টা করুন।

এমনকি চিকিৎসকরাও এটাই বলে থাকেন। কারণ স্মার্টফোন ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া। এছাড়া পড়শোনায়ও মনোযোগ কমে যায় স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে। এজন্য মনোবিজ্ঞানীরাও শিশুদের হাতে স্মার্টফোন না দেয়ার পরামর্শ দেন।

২০১৬ সালে প্রকাশিত ‘কিডস অ্যান্ড টেক: দ্য ইভোলিউশন অব টুডেজ ডিজিটাল নেটিভস’ নামের এক গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে গড়ে মাত্র ১০.৩ বছর বয়সে মোবাইল হাতে পায় শিশুরা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী শিশুদের গড় বয়স ১১.৪ বছর।