মাত্র ২৩৪ টাকার কিস্তিতে পাচ্ছেন বাইক
মোটরসাইকেল এখন শুধু নিজের প্রয়োজনে বা শখের বসে চালানো কোন দ্বিচক্রযান নয় বরং এটি এখন উপার্জনের মাধ্যমও। বাইক চালানোর যোগ্যতা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার পরেও অনেকে একটি বাইক কেনার জন্য পুরো টাকা একবারে যোগাড় করতে পারেন না। অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পাশাপাশি যদি আপনার খণ্ডকালীন বাইক চালিয়ে টাকা উপার্জন করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনার জন্য পিএইচপি অটোমোবাইলস দিচ্ছে ২৩৪ টাকার দৈনিক কিস্তিতে সহজ শর্তে ১২৫ সিসি বাইক কেনার সুবর্ণ সুযোগ।
বাইকটির মডেল পিএইচপি সুপার। ১২৫ সিসির এই বাইকটি প্রতি লিটার তেলে ৬৮ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। বাইকটি কেনার জন্য বাইকের মূল্যের ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে। দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে কিস্তি পরিশোধ করার সুযোগ থাকছে। বিনা সুদে ১০ মাসের মধ্যে মোটটর বাইকটির পুরো দাম পরিশোধিত হবে।
পিএইচপি সুপার বাইকটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুলড, ৪ স্ট্রোক সমৃদ্ধ ইঞ্জিন। এই বাইকটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। বাইকটিতে সেলফ স্টার্টারের পাশাপাশি কিক স্টার্টারও রয়েছে।৪ স্পিডের গিয়ার বক্সের এই বাইকে সামনে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক সাসপেনশন এবং পেছনে ৫ ধাপে সমন্বয় করার শক অ্যাবজর্ভার রয়েছে। বাইকটি ১৩ লিটার পর্যন্ত ফুয়েল ধারণ করতে পারে।
পিএইচপি সুপারে রয়েছে সুপরিসর সিট। পিলিয়ন এবং রাইডারের জন্য আরামদায়ক এই সিটে ২ জন আরাম করে বসতে পারবে। বাইকটির হুইল বেস ১২৬০ মিলিমিটার। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৩০ মিলিমিটার থাকাতে সহজেই ভাঙা বা গর্তযুক্ত রাস্তা পাড়ি দিতে পারবে।বাইকটির ওজন ৯৫ কেজি। পিএইচপি সুপার সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি ওজন বহন করতে পারবে। পিএইচপি অটোমোবাইলস বাইকটিতে ৩ বছরের ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি প্রদান করছে।
বাইকটিতে অ্যালয় হুইল থাকলেও টিউবলেস টায়ার নেই। সামনে এবং পিছনের চাকায় হাইড্রোলিক ব্রেকের বদলে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
পিএইচপি অটোমোবাইল লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা এস এম শাহিনুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, বর্তমানে রাইড শেয়ারিং বেশ জনপ্রিয়। দৈনিক ২৩৪ টাকা পরিশোধ করাও সহজ ব্যাপার। আমরা চাই, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হোক। যাতায়াতে স্বাধীনতা আসুক। পিএইচপি সুপার বাইকটিকে আমরা নিঃসন্দেহে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বাইক বলতে পারি। চীন, জাপানসহ অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর পার্টসের সমন্বয়ে আমরা এই বাইকগুলোকে বাংলাদেশের রাস্তায় চালানোর উপযোগী করে বানিয়েছি। বাইকটিতে আমরা ৪টি ফ্রি সার্ভিস প্রদান করছি।’
এই অফারটি শুধুমাত্র চট্টগ্রাম এলাকার জন্য প্রযোজ্য। এ প্রসঙ্গে এস এম শাহিনুর বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে আমাদের একটি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। ভবিষ্যতে রাজধানীসহ সারাদেশে আমাদের বিক্রয় এবং বিপণন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হবে। আশা করছি, নিকট ভবিষ্যতে আমরা সহজ শর্তে বাইক কেনার অফার সারা দেশের জন্যই দিতে পারবো।
লাল এবং নীল এই দুইটি রঙে পিএইচপি সুপার বাইক পাওয়া যাবে। বাইকটির মূল্য ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। মাত্র ৩০ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বাইকটি কেনা যাবে। বাইকটি কেনার সময় বিআরটিএ প্রদত্ত( রেজিস্ট্রেশন, ইন্সুরেন্স, ট্যাক্স) ফি, ক্রেতার দুই কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, গ্যারান্টরের ১ কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ১০টি এমআইসিআর চেক এবং ৩০০ টাকা মূল্যের স্টাম্প সংযুক্ত চুক্তিপত্রের প্রয়োজন হবে।
সূত্র: ঢাকাটাইমস