ঐক্যফ্রন্টের যেসব দাবি মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলো ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। মূলত ঐক্যফ্রন্টের ৭ দাবি নিয়ে ওই আলোচনায় অংশ নেয় ঐক্যফ্রন্ট। এর মধ্যে কয়েকটি দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীহ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
              এর মধ্যে রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তৃতীয় দফা। যেটি হচ্ছে বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক। ঐক্যফ্রন্ট যাতে সাভ সমাবেশ করতে পারে সে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই দিয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের ষষ্ঠ দাবি হলো, নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং সম্পূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে ভোট কেন্দ্র, পোলিং বুথ, ভোট গণনাস্থল ও কন্ট্রোল রুমে তাদের প্রবেশের ওপর ওপর কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ না করা এবং নির্বাচনকালীন সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর যে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে।এ বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা
# অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
              # গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
              # বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সকল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা এবং নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
# কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সাংবাদিকদের আন্দোলন এবং সামাজিক গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিল করতে হবে।
              # নির্বাচনের ১০ দিন পূর্ব থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্য্ন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করতে হবে।
# তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা এবং নতুন কোনো মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
              সূত্র: বিডি-জার্নাল
এ জাতীয় আরও খবর
                    মাংস খায় যে গাছ!
                    বদলে যাচ্ছে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা
                    ১২৮ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের প্রতি সৌদি আরবের আহ্বান
                    মালিক মুসলিম হলে ভূতে গরু চায়, আর হিন্দু হলে খাসি!
                    বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ৭ম ধারা নিয়ে বিপাকে ইসি
                    শুকরানা মাহফিলে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-আহমেদ শফী
                    
        
