‘দুই কারণে সংলাপে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ঐক্যফ্রন্ট থেকে দেয়া চিঠির উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ সময় দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময় গণভবনে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ প্রস্তুত।তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ ফলপ্রসূ করতে গেলে দুপক্ষের সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।
গণভবনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ ২১ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেবেন।এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদের মধ্যে দলটির শরিক ১৪ দলীয় জোটের তিন নেতাও থাকবেন।এর আগে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেয়া সাত দফা দাবির কোনোটিই মানা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ফলে রাজনীতি নতুন করে আরেকটি শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী রাজি হওয়া এবং ঐক্যফ্রন্টকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর পর সেই শঙ্কা অনেকটা দূর হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন আলোচনায় রাজি হলেন?অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী মনে করেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই চাইছিল যে একটা সংলাপ হোক, পরে ক্ষমতাসীনরা এতে সায় দিয়েছে।এর পেছনে দুই বিষয়কে প্রধান কারণ, প্রথমত সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটা চাপ আছে।
দ্বিতীয়ত, সরকার দেখাতে চাইছে যে, তারা সংলাপে বসেছে। সেটা লোক-দেখানো হতে পারে।- বিবিসি বাংলা অবলম্বনে।