অবশেষে ডিনারও হলো
সংলাপের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে জেএসডি সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব গণভবনে নৈশভোজ নিয়ে বলেছিলেন, আমরা তো যাচ্ছি আলোচনার জন্য, খাওয়ার জন্য নয়।তবে সর্বশেষ পাওয়া খবর মতে গণভবনে নৈশভোজ সেরেছেন ঐক্যফ্রন্ট ও ১৪ দলের নেতারা। খাবারের তালিকায় অ্যাপেটাইজার হিসেবে ছিলো ফ্রেশ জুস (মাল্টা, আনারস, জলপাই ও তরমুজ) ও সুইট অ্যান্ড সাওয়ার কর্ন স্যুপ (চিংড়ি বাদ)। এর সঙ্গে থাকছে মিক্সড নুডুলস (চিংড়ি বাদ), মিক্সড সবজি, বিফ শিক কাবাব, চিকেন ইরানি কাবাব।
মূল খাবারে ছিলো মোরগ পোলাও, বাটার নান আর সাদা ভাত। তার সঙ্গে কারি হিসেবে থাকছে মাটন রেজালা, চিতল মাছের কোপ্তা কারি ও রুই মাছের দোপেঁয়াজা। সঙ্গে মিক্সড সালাদ।আর শেষ পাতে ডেজার্ট হিসেবে টক-মিষ্টি দুই ধরনের দই আর চিজ কেক। আগে থেকেই জানা যাচ্ছিলো চিজ কেক ড. কামাল হোসেনের পছন্দ। আর সেটা মাথায় রেখেই এই খাবারটি মেন্যুতে সংযুক্ত করা হয়। পানীয় হিসেবে ছিলো কোক ক্যান ও চা বা কফি।
এ সংলাপ শুরুর আগেই গণভবনের খাবারের মেন্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়। অবশ্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিনয়ের সঙ্গে নৈশভোজের খাবার প্রত্যাখ্যান করে। তারা মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ করছে বলেই গণভবনের নৈশভোজ বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চেয়ে গত ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এ চিঠি পৌঁছে দেন।সেই চিঠির বিষয়ে ২৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে সাড়া দেন। এরপর ঐক্যফ্রন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হয়।