অনলাইন ডেস্ক : অনেক খাবারই আছে যা পেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রোটিন পেশী ও টিস্যুর বৃদ্ধি ও মেরামতে সাহায্য করে। কিন্তু পেশীর গঠনের জন্য শুধু প্রোটিন গ্রহণই যথেষ্ট নয়। কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান ও প্রয়োজনীয়। ফ্যাট সঠিক হরমোনকে উৎসাহিত করে এবং প্রদাহ কমায়। ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিন ও মিনারেল সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার এনার্জি প্রদান করে। পেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের কথাই জানবো আজ।
১। কাঠবাদাম:-
উদ্ভিজ প্রোটিনে পরিপূর্ণ একটি খাবার হচ্ছে কাঠবাদাম। ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ পরিমাণ কাঠবাদামে ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়াও এতে হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ম্যাগনেসিয়াম ও থাকে। ম্যাগনেসিয়াম এনার্জি মেটাবোলিজম এবং প্রোটিন সিন্থেসিসে সাহায্য করে।
২। কটেজ চিজ:-
পেশীর গঠনের জন্য বেশীর ভাগ বডি বিল্ডারদেরই প্রধান পছন্দের খাবার হচ্ছে কটেজ চিজ বা ঘরে বানানো পনির। ১ কাপের ২ ভাগের ১ ভাগ পরিমাণ পনিরে ১৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
৩। চর্বিহীন গরুর মাংস:-
উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকার পাশাপাশি পেশীর বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী উপাদান যেমন- আয়রন, জিংক ও বি ভিটামিন থাকে গরুর মাংসে। উচ্চমাত্রার এমাইনো এসিড থাকে গরুর মাংসে যা ইনসুলিনের সাথে কাজ করে পেশীর বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে।
৪। চামড়াহীন মুরগীর মাংস:-
মুরগীর মাংস উচ্চ মাত্রার প্রোটিনের চমৎকার উৎস যা পেশীর রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে সাহায্য করে, হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে ও সাহায্য করে।
৫। ডিম:-
ডিমে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে। এছাড়াও ৯ টি এসেনশিয়াল এসিড, কোলাইন, সঠিক ফ্যাট এবং ভিটামিন ডি থাকে ডিমে।
৬। ওটমিল:-
কার্বোহাইড্রেটের চমৎকার উৎস ওটমিল। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবারের উপকারিতা হচ্ছে – এগুলোতে ফাইবার ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ বেশি থাকে, তৃপ্তি বৃদ্ধি করে, ক্ষুধা কমায় ও ফ্যাট কমতে সাহায্য করে।
৭। ফল ও শাকসবজি:-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে ফল ও শাকসবজি যা ইমিউন সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এছাড়াও শাকসবজিতে আরো অনেক পুষ্টি উপাদান যেমন- ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন এবং ফাইবার ও থাকে।