৫ই নভেম্বর, ২০১৬ ইং, শনিবার ২১শে কার্তিক, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ
  • প্রচ্ছদ » slider 5 » শর্তসাপেক্ষে খুলছে সিটিসেল


শর্তসাপেক্ষে খুলছে সিটিসেল


Amaderbrahmanbaria.com : - ০৩.১১.২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সবচেয়ে পুরনো মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ অবিলম্বে চালু করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আর আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সিটিসেলকে ১০০ কোটি টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে। এতে তারা ব্যর্থ হলে তাদের তরঙ্গ বরাদ্দ বিচ্ছিন্ন করা যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত বা পুনরায় তরঙ্গ বরাদ্দের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৪ অক্টোবর আবেদন করে সিটিসেল।

প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সূত্র মতে, সিটিসেলের কাছে বিটিআরসির বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে টুজি লাইসেন্সের তরঙ্গ বরাদ্দ ও নবায়ন ফি বাবদ পাওনার পরিমাণ ২২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ ২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বার্ষিক তরঙ্গ ফি বাবদ ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা, সামাজিক সুরক্ষা তহবিলের ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ কোটি টাকা, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বাবদ ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ ১৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।

এর আগে গ্রাহকসহ সিটিসেল–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্দেশে বিটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা বা সেবা নেয়ার জন্য সময় দেয়া হলো। সিটিসেলের টেলিযোগাযোগ সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মুঠোফোন অপারেটর হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবার লাইসেন্স পায় সিটিসেল। তবে প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে। যাত্রার সময় এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মুঠোফোন অপারেটর। প্রথম থেকেই সিটিসেল বাংলাদেশের একমাত্র সিডিএমএ (কোড ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস) মোবাইল অপারেটর হিসেবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সিটিসেলে বর্তমানে ৫৫ ভাগ শেয়ারের মালিক দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকম। এর মধ্যে প্যাসিফিক মোটরসের শেয়ারের পরিমাণ ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ আর ফার ইস্ট টেলিকমের ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। বাকি ৪৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিংটেল। প্যাসিফিক মোটরস ও ফার ইস্ট টেলিকমের কর্ণধার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মোর্শেদ খান।





Loading...


প্রকাশকঃ মোঃ আশ্রাফুর রহমান রাসেল
সম্পাদক : বিশ্বজিত পাল বাবু
চেয়ারম্যান : আলহাজ্ব নুরুজ্জামান
ঠিকানা : ৬০৩ ফুলবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
email : [email protected] (news)
Phone: +880851 62307
+8801963094563


close