মাত্র ২ সপ্তাহে যে তেল ব্যবহার করলে ঝরে পড়বে আঁচিল
ডেস্ক রিপোর্ট।। আঁচিল ত্বকের একটি সমস্যার নাম। আঁচিল ত্বকে একধরনের ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়। এর নাম হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এর কারণে আমাদের সুন্দর মুখে ভাটা পড়ে যায়।
আঁচিল সাধারণত গলায়, স্তন, আঙুলের ভাঁজে, চোখের পাতায় বা শরীরের স্পর্শকাতর ভাঁজে হয়ে থাকে। অনেক সময় আঁচিল এমনিতেই সেরে যায়। কেউ কেউ আবার আঁচিল সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়ে থাকেন। তবে সেটা বেশ সময় সাপেক্ষ।
কিন্তু আঁচিলের চিকিৎসা মোটেও অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি বা কোনো ওষুধ নয়। আঁচিলের ধরণ বুঝে তার চিকিৎসা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা আঁচিল সমস্যা সমাধানে নিরাপদ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ের কথা বলেছেন, নিম্নে তা আলোচনা করা হল :
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। তুলায় অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে দিনে ২ বার আঁচিলের ওপরে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। চোখের পাতায় লাগালে খেয়াল রাখবেন যেন ভেতরে না যায়। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ নিয়মটি অনুসরণ করলে দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই আঁচিল ঝরে পড়বে।
টি ট্রি ওয়েল
দ্রুত আঁচিল দূর করতে এটা অত্যন্ত কার্যকরী। বড় কসমেটিকসের দোকান বা সুপার শপিং মলে এই তেলটি পাওয়া যাবে। ভেজা তুলায় কয়েক ফোটা টি ট্রি ওয়েল নিন। তারপর আঁচিলের ওপর রেখে দিন ১০ মিনিট। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করলে এক সপ্তাহের মধ্যে আঁচিল ঝরে পড়বে।
ক্যাস্টর ওয়েল ও বেকিং সোডা
এই দুই উপাদান মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করুন। আঁচিলের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। তবে রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেললে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
রোজ রাত্রে বিছানার চাদরের নীচে সাবান রেখে শুতো মেয়েটি, তার ফল হল অবিশ্বাস্য!
অনেকেই রাত্রে ঘুমনোর সময়ে পায়ে যন্ত্রণা বা টান লাগার সমস্যায় ভোগেন। ঘুমের মাঝে, বিশেষত যখন সবেমাত্র ঘুমটা আসছে, তখনই আচমকা টান ধরে যায় পায়ের গোড়ালির একটু উপরের অংশে কিংবা উরুতে।
কখনও কখনও সেই বেদনা বড় মারাত্মক হয়ে ওঠে। ঘুমের তো দফারফা হয়ই, অনেক সময়ে সকাল বেলাও ব্যথা রয়ে যায় পায়ে, হাঁটতে চলতে কষ্ট হয়।
সাধারণভাবে এই সমস্যাকে বলা হয় চার্লি হর্সেস। প্রধানত স্নায়বিক সমস্যার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়া কিডনির রোগ, অতিরিক্ত মদ্যপান, কিংবা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ঘটে থাকে এমনটা।
মার্কিন ম্যাসাজ থেরাপিস্ট ভেলমা ভ্যালোরও এই সমস্যায় ভুগতেন। ঘুমের মাঝে যখন তখন যন্ত্রণা শুরু হত পায়ে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ায় তাঁরা বলেন, এই সমস্যার কারণটিকে খুঁজে বার করে তাকে নির্মূল করতে হবে। কিন্তু সেই চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। এই বেদনার কোনও চটজলদি সমাধান নেই।
ভেলমা ডাক্তারদের কথায় কিঞ্চিৎ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তারপর নানাবিধ ঘরোয়া টোটকা নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে গিয়ে তিনি নিজেই আবিষ্কার করে ফেলেন এমন একটি ঘরোয়া কৌশল, যার মাধ্যমে ঘুমের মধ্যে পায়ের যন্ত্রণা থেকে হাতেনাতে মিলতে পারে মুক্তি।
ভেলমা রোজ রাত্রে নিজের শোওয়ার বিছানার চাদরের নীচে একটি সোপ বার বা সাবানের বার রেখে দেওয়া শুরু করেন। সাধারণ স্নান করার সাবানই ছিল সেটি। কিন্তু তাতেই অবিশ্বাস্য ফল ফলে। ভেলমা চিরতরে মুক্তি পান ঘুমের মাঝে পায়ের যন্ত্রণা থেকে।
কিন্তু এই ঘরোয়া টোটকা কি কাজ করবে অন্য মানুষের ক্ষেত্রেও? মে়ডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়ার গবেষকরা বলছেন, আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই এই কৌশল কার্যকর।
দেখা গিয়েছে, যাঁরা ঘুমের মধ্যে পায়ে খিঁচ ধরার সমস্যায় ভুগতেন, তাঁদের অনেকেই ঘুমের সময়ে বিছানার চাদরের নীচে সাবান রেখে দেখেছেন, মুক্তি মিলেছে সেই সমস্যা থেকে।
কিন্তু কীভাবে একটি সাবান নিষ্কৃতি দিতে পারে পায়ের যন্ত্রণা থেকে? গবেষকরা বলছেন, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে এই যে, শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব ঘটলে পায়ে এই ধরনের টান ধরে।
আর সাবানে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। কাজেই এমনটা হওয়া অসম্ভব নয় যে, সাবানের সংস্পর্শে পা দু’টি থাকলে, পায়ের ম্যাগনেসিয়াম ঘাটতি কিছুটা লাঘব হয়। সেই কারণেই হয়তো মুক্তি মেলে পায়ের আকস্মিক যন্ত্রণা থেকেও।
রক্ত সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য, জানলে অবাক হবেন!
রক্ত মানেই হলো গাঢ় লাল তরল পদার্থ। যা আমরা চোখে দেখলে চমকে উঠি। সেই রক্ত সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা। আজ রয়েছে মানুষের ‘রক্ত’ সম্পর্কে আজব কিছু তথ্য।
আমরা জানি রক্ত আমাদের শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমরা অনেকেই জানি না বা জানার প্রয়োজনীয়তাও দেখি না। অথচ এই রক্ত সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য রয়েছে যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
জেনে নিন রক্ত সম্পর্কিত কিছু অদ্ভত তথ্য:
# ব্রাজিলের ‘বোরোরো’ সম্প্রদায়ের সকলের রক্তই নাকি ‘ও’ গ্রুপের।
# চোখের ‘কর্নিয়া’ অক্সিজেন নেয় বাতাস হতে, অর্থাৎ রক্ত থেকে নয়।
# একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ এক বছরে যে পরিমাণ মাংস খায়, তা একটি সোডা ক্যানের সমান!
# জাপানে বলা হয়ে থাকে, রক্তের গ্রুপ ‘ব্যক্তি চরিত্র’-এর একটি অদ্ভুত চিহ্ন। সে দেশে মানুষের ফেসবুক প্রোফাইলেও তার প্রভাব নাকি লক্ষণীয় হয়।
# সদ্যোজাত একটি শিশুর শরীরে নাকি মাত্র এক কাপ রক্ত থাকে!
# একটি রক্তকোষ, মাত্র ৩০ সেকেণ্ডে পুরো শরীর প্রদক্ষিণ করতে পারে।
# অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহের মধ্যে একজন মহিলার শরীরে নাকি প্রায় ৫০% রক্ত বৃদ্ধি পায়।
# ‘ও’ গ্রুপের রক্ত মশাদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের।
# স্ত্রী মশাই শুধুই রক্ত খায়।