শুক্রবার, ২রা নভেম্বর, ২০১৮ ইং ১৮ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

পুরুষের সাথে কথা বলায় স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা

মোবাইল ফোনে পর পুরুষের সাথে কথা বলার অপরাধে নিজের স্ত্রী সুমি ইসলামকে (২০) গলাকেটে জবাই করে হত্যা করে জাহিদ হোসেন রাজু (৩৭)। হত্যার পর মস্তক বিচ্ছিন্ন মরদেহ বস্তায় ভরে নালায় ফেলা হয় এবং খণ্ডিত মস্তক ফেলা হয় ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩/৪ কিলোমিটার দূরে একটি কবরস্থানে। চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার ছোটপোল এলাকায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ অক্টোবর রাতে।

সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পুলিশ ঘটনার পরদিন অজ্ঞাত লাশ হিসেবে ওই নারীর মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পর অনুসন্ধানে নামে এবং সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে স্বামী জাহিদ হোসেন রাজুকে আটক করে। আটক রাজু খাগাছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার কাজী পাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে।

রাজুর স্বীকারোক্তিতে ওইদিনই নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারী পাড়াস্থ পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্য থেকে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় সুমির খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয় বলে জানান হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) এসএএম বদরুল কবীর।তিনি জানান, জাহিদ হোসেন রাজুকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আব্দুল জলিল এবং ফেরদৌসি নামে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজুর বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তার স্ত্রী মৃত সুমি ইসলাম প্রায়ই বিভিন্ন ছেলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হত। তারই জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজু তার পরিচিত আব্দুল জলিল এবং ফেরদৌসিকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সুমি ইসলামকে প্রথমে লায়লনের রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে জবাই করে হত্যা করে।

ধারালো ছোরা দিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং লাশ গোপন করার জন্য ডবলমুরিং থানাধীন বেপারী পাড়াস্থ পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্যে মস্তকটি ফেলে দেয়া হয়। পরে মস্তকবিহীন দেহটি বস্তায় ঢুকিয়ে বস্তার মুখ রশি দিয়ে বেঁধে হালিশহর থানাধীন ছোটপুল ইসলাম মিয়া ব্রীকফিল্ডের ৩নং রোডস্থ খান সাহেব এবং জাবেদের বাড়ির মাঝখানে নালার মধ্যে ফেলে দেয়।