ভাগ্নিকে নিয়ে পালিয়ে গেল মামা, অতঃপর…
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম এলাকার টেংগারপাড় গ্রামে ভাগ্নিকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন এক মামা। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মো. হানিফের মেয়ে আসমা আক্তার পলি (২৭) দুই সন্তানের জননী। ১৭ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটে, বুধবার (২৪ অক্টোবর) পলির মা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় সাধারন ডায়েরী করেন এবং শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী জানায়, ১৫ বছর আগে ওই গ্রামের জাকির হোসেনের সাথে বিয়ে হয় পলির এবং একটি পূত্র ও এক কন্যা সন্তান তাদের তাদের।জাকির হোসেন ৮ বছর পূর্বে জীবিকার প্রয়োজনে বিদেশে পাড়ি জমানোর সুবাধে ওই গ্রামের মৃত.তনু মিয়ার ছেলে ও বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অহিদুর রহমানের ভাতিজা সুমন (পলির মায়ের আপন চাচাত ভাই) তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করে।
তার মায়ের সাথে সখ্য গড়ে তোলে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে সে। পরে গোপনে ভাগ্নি পলির সাথেও মামা সুমন গভীর সম্পর্কে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।পলির মা জাহানারা বেগম জানায়, ১৭ অক্টোবর তার মেয়ে ১০ লাখ টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে গিয়ে আর বাড়িতে আসে নাই। এসময় তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে।
পরে আমরা আত্নীয়-স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে কোন খবর পাইনা। এক পর্যায়ে খালেক মেম্বার (স্থানীয় মেম্বার) ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে তারা আমাকে বলে এখন মামলা করিওনা আরো খোঁজ-খবর নাও, হয়তো চলে আসবে। পরে আমি ২৪ তারিখ থানায় জিডি করি।আমার দুই মেয়ে বিয়ের পর থেকে পলি আমার বাড়ীতে থাকে আমার এক নাতীন ও এক নাতী আছে। ঘটনার তিন দিন পর লোকমূখে শুনি সুমন আমার মেয়ে পলিকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
সুমন আমার আপন চাচাত ভাই, সে এমন ঘটনা ঘটাইছে ১০ লাখ টাকা ৫ ভরি স্বর্ন নিয়ে গেছে। বৃহস্প্রতিবার আমার মেয়ের জামাই বিদেশ থেকে বাড়ীতে এসেছে।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার আব্দুল খালেক ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুমনের গার্জিয়ান নেয়ামত পলিকে উদ্ধার করে দিবে বলে আমাদের তালবাহানা করে, এতে আমাদের কোন দোষ নাই। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার এ এস আই কিবরিয়া জানায়, তদন্ত চলছে ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।