শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা : খালেদা জিয়া
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নূর হোসেন আমাদের প্রেরণা।’
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। তাঁর রক্তের ধারা বেয়েই ‘৯০ এর গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন নুর হোসেন, তাঁর সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হয়েছে। স্বৈরাচারী শক্তির এ চক্রান্ত্র রুখতে হবে যেকোনো মূল্যে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। আর এজন্য আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরশাসকের তপ্ত বুলেটের শিকার হয়েছিলেন নূর হোসেন। সেদিন তাঁর আত্মত্যাগ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে উদ্ধুদ্ধ করেছিল। নূর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিল সফল গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিল নির্দয় স্বৈরশাসকের, মুক্ত হয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নূর হোসেনের সেই আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না। নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এই বাধা দূর করে আমাদের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’