প্রযুক্তি ডেস্ক : কীভাবে আরও বেশিদিন বাঁচা যায়? প্রশ্ন এক, উত্তর অনেক। উন্নত চিকিৎসা থেকে বাবাজির টিপস্, হেলদি খাবার থেকে মন ভালো রাখার হাজার উপায়। আসল কথা, আমরা সবাই অনেকদিন বাঁচতে চাই। আরও বেশিদিন পেতে চাই ধরিত্রীর স্বাদ। তাই চলে নানা খোঁজ। সেই উপায়ের লম্বা লিস্টিতে আরও একটি পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। ফেসবুক। সারাবিশ্ব এই একটি নেশায় বুঁদ। ৮ থেকে ৮০ সকলকেই পেয়ে যাবেন সেখানে। এখন ফেসবুকই নাকি মানুষকে আরও বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখার মোক্ষম উপায়। ১ কোটি ২০ লক্ষ সোশাল নেটওয়ার্ক মিডিয়া ইউজারদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনই তথ্য মিলেছে।
মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করলে মন ভালো থাকে, একাকীত্ব দূর হয়। একথা কারোর অজানা নয়। মনোবিদরাও মেলামেশা করার পরামর্শ দেন। এতে মনের কালিমা লুপ্ত হয়। আর কে না জানে, এসব ব্যাপারে ফেসবুক এক। সোশিয়ালাইজ়িংয়ের ব্যাপারে ফেসবুকের কোনও তুলনাই নেই। দু’রকমেরই মেলামেশা হতে পারে সেখানে – রিয়েল এবং ভার্চুয়াল। একদিকে পুরনো স্মৃতির পাতায় হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের আবার ফিরে পাওয়া, অন্যদিকে নতুন নতুন বন্ধুত্বের হাতছানি। …আর গাঢ় বন্ধুত্ব যদি নাও হয়, বাহবা দেওয়া দাতাদের অভাব হয় না। একটি ফোটোয়, একটি পোস্টে “লাইক” দেওয়া বন্ধুরা হাত বাড়িয়েই থাকেন। মরাল বুস্ট হয় একপ্রকার। বেঁচে থাকার ইচ্ছাশক্তি বাড়ে ভিতরে ভিতরে। নিজেকে আরও সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস চলে।
এতকাল অফলাইন দুনিয়ার ডামাডোলকে নিয়ে মেতে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। ইদানিং অনলাইন দুনিয়াকে ঘিরে নানাধরনের রিসার্চে মন দিয়েছেন। পরীক্ষা করে দেখেছেন, যে ব্যক্তি সোশাল নেটওয়ার্কিংয়ে যতবেশি দক্ষ, তাঁর আয়ু ততবেশি। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষক উইলিয়াম হবসের বক্তব্য, এটা তখনই হওয়া সম্ভব যখন অনলাইন কথোপকথন স্বাস্থ্যকর হয়। তবে দিনের বেশিরভাগ সময় অনলাইন থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে বলে উইলিয়ামের মত।
পরীক্ষাটি চালানো হয় ইউজারদের ৬ মাসের ফেসবুক ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে। জন্মের তারিখ ১৯৪৫ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত। দুটি প্রজন্মের বয়স ও লিঙ্গের ওপরও তুলনামূলক পরীক্ষা চালানো হয়। দেখা হয়, ব্যবহারকারীদের ফ্রেন্ড লিস্টে কতজন বন্ধু আছেন, কতগুলি ফটো ও পোস্ট আছে ও পোস্টের ধরন। এও দেখা যায়, যাঁরা ফেসবুকে বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেন, তাঁদের আয়ু নাকি তুলনামূলক বেশি!