আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের আইনপ্রণেতারা নতুন একটি আইনের বিলে স্বাক্ষর করেছেন। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশটিতে সব ধরনের পর্ন সাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কেউ চাইলে প্রকাশ্য অনুমতি নিয়ে পর্ন সাইটগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন।
ইসরাইলের আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত মিনিস্ট্রিয়াল কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বিলটির অনুমোদন দিয়েছে। এই আইনের ফলে দেশটির ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কম্পানিগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবেই প্রাপ্তবয়স্কদের সাইটগুলো বন্ধ রাখতে হবে। নতুন এই আইনের সমর্থকরা দাবি করেছেন এর মাধ্যমে তরুণদেরকে অনলাইনে বিকৃত যৌনতা উপভোগ থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
নতুন এই আইনের ফলে কেউ যদি অনলাইনে পর্ন ছবি দেখতে চায় তাহলে তাদেরকে তাদের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এই অনুমতি নিতে হবে লিখিত ভাবে, ফোন করে বা তাদের ওয়েবসাইটের সংস্পর্শে এসে।
বিলটি অনুমোদন পাওয়ার মানে হলো এটি এবার দেশটির আইনসভা নেসেটে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে পাশ হলে বিলটি আইনে রুপান্তরিত হবে।
তবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কম্পানিগুলো এই নতুন আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তাদের আশঙ্কা এই আইনের ব্যবহার করে নারীদের স্তন ক্যান্সার বিষয়ক সাইটগুলোও ব্লক করে দেওয়া হতে পারে। কম্পানিগুলো আরো বলে যে, পর্ন সাইটে ঢুকতে লোককে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কম্পানিগুলোর পূর্বানুমতি নিতে বাধ্য করা হলে লোকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আইনী অধিকারও লঙ্ঘিত হবে।
বিলটির সমর্থকরা বলছেন এই আইনের ফলে কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
তারা তাদের এই আইন প্রণয়নের পেছনে যুক্তি হিসেবে যুক্তরাজ্যের উদাহরণ দেন। যুক্তরাজ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পর্ণ ওয়েবসাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট