পরিচয়পত্র পাবে গরু
নাগরিকদের জন্য প্রদান করা হচ্ছে ভোটার পরিচয়পত্র। পাশাপাশি গরুর জন্য চালু হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতির কার্ড বা ট্যাগ। এটি লাগানো হবে প্রতিটি গরুর কানে। এতে দেশের সব গরুর হিসাব রাখা যাবে।এর আগে মানুষের পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো রেশন কার্ড ও প্যান কার্ড। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার চালু করে আধার কার্ড। পরিচয়ের প্রধান দলিলই হচ্ছে এই আধার কার্ড।
গরুর জন্য কার্ড তৈরিতে সরকার প্রথম পর্যায়ে ৫০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। প্রথম পর্যায়ে এই কার্ড দেওয়া হবে চার কোটি গবাদিপশুকে। সেই কার্ডে আধার কার্ডের মতো প্রতিটি গবাদিপশুর পরিচয় থাকবে। অর্থাৎ, গবাদিপশুর উচ্চতা, লিঙ্গ, শারীরিক চিহ্ন ইত্যাদি।ভারতের কৃষি মন্ত্রণালয় এই কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। একেকটি কার্ডের খরচ পড়ছে ৮ থেকে ১০ রুপি। গবাদিপশুর এই কার্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পশু সঞ্জীবনী’।
উদ্যোগটিকে অনেকেই গরুর আধার কার্ড প্রদানের একটি প্রকল্প হিসেবে অভিহিত করছেন। তবে ভারত সরকার তেমনটা বলতে নারাজ। তারা বলছে, প্রথম পর্যায়ে দেশের সব গরুর হিসাব রাখার জন্য বার কোডসহ একটি ট্যাগ দেওয়া হবে। এই ট্যাগ গরুর কানে লাগানো হবে। আগে গরুর হিসাব রাখার জন্য ট্যাগ লাগানো হলেও তা ডিজিটাল পদ্ধতির ছিল না। এবার এই ট্যাগকে সর্বাধুনিক করে তা নতুনভাবে দেওয়া হচ্ছে। তাই একে অনেকে গরুর আধার কার্ড হিসেবে প্রচার করছেন।
মোদি সরকারের এই উদ্যোগকে গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। তারা গরুকে বার কোডযুক্ত ট্যাগ লাগাতে উদ্যোগী হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, কৃত্রিম প্রজননের পর গরুর কান ফুটিয়ে লাগানো হচ্ছে এই ডিজিটাল ট্যাগ।দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কৃত্রিম প্রজননের পর গরুর কানে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বার কোডযুক্ত একটি কার্ড বা ট্যাগ। এই বার কোডের মাধ্যমে ওই গরুর সার্বিক তথ্য চলে যাচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সার্ভারে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, আগে কৃত্রিম প্রজনন সেভাবে ফলোআপ হতো না। এখন বার কোড দিয়ে চিহ্নিতকরণের ফলে ফলোআপ সম্ভব হচ্ছে। আগে রং বা শিং দেখে গরু চেনা হতো। এখন চেনা হচ্ছে বার কোডে দেওয়া নম্বর থেকে। ফলে এখন দেশে কত গরু আছে, তা জানা সম্ভব হচ্ছে। দুধের উৎপাদন কত, তাও জানা যাচ্ছে।