আমাকে সত্যি ভালোবাসলে ওকে খুন করতে হবে তোমায়
রুমমেটদের সঙ্গে চলছিল জীবনের সত্যি কিছু ঘটনা বলার খেলা ৷ এবার সত্যি বলার পালা পড়েছিল নৌসেনার ক্যাডেট ডায়নার ৷ চ্যালেঞ্জের মুখে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য ৷ ১৮ বছরের ডায়না চ্যালেঞ্জের সময় জানায় যে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে মিলে একজনের খুন করেছিল তারা ৷ রুমমেটরা প্রথমে এই কথা বিশ্বাস করছিল না ৷ কিন্তু ডায়না সমস্ত তথ্যের সঙ্গে বলতে শুরু করলে সবাই ভয় পেয়ে যায় ৷ পরিস্থিতি দেখে ডায়না বলেন যে তিনি মজা করছিলেন ৷
কিন্তু ডায়না কী সত্যি বলছে ? এই নিয়ে দুই রুমমেটের সন্দেহ হওয়ায় তারা সিনিয়র অফিসারদের বিষয়টি জানায় ৷ সিনিয়ররা খবর পেয়ে ডায়নার রেকর্ড চেক করেন কিন্তু তাতে কিছু পাওয়া যায়নি ডায়নার বিরুদ্ধে ৷ নিশ্চিত হতে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায় ৷মার্কিন পুলিশ এই বিষয় জানতে পেরে মনে করেন যে গ্র্যান্ড প্রেরি হত্যাকাণ্ডের কোনও বড় তথ্য তাদের হাতে লাগতে পারে ৷ ১৯৯৬ সালে পুলিশে নেভি অ্যাকাডেমিতে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷
কিন্তু ডায়নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহজনক কোনও কিছুই পুলিশ খুঁজে পায়নি ৷ ফলে তাদের মনে হয় যে সত্যি হয়ত ডায়না মজা করছিলেন ৷ এরপর ডায়নাকে টেক্সাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তার উপর নজরদারি রাখতে শুরু করা হয় ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডায়না নিজের বয়ফ্রেন্ডের নাম বেশ কয়েকবার নিয়েছিল ৷ শেষবারের মত চেষ্টা করতে চায় পুলিশ ৷ তাই ডায়নার বয়ফ্রেন্ড ডেভিডের খোঁজ শুরু হয় ৷ জানা যায় কোলারাডোতে তিনিও একজন এয়ারফোর্স ক্যাডেট ৷
ডেভিডকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনিও জানান যে বন্ধুদের গল্প বানিয়ে বলেছে ডায়না ৷ কিন্তু ডেভিডের বয়ানে পুলিশের সন্দেহ হয় যে সে কিছু লুকোনর চেষ্টা করছে ৷ লাই ডিটেক্টটর টেস্টে ধরা পড়ে যে ডেভিড মিথ্যে কথা বলছেন ৷ এরপর তার উপর জোর দিতেই সামনে চলে আসে সত্যি ৷ প্রকাশ্যে আসে হাড়হিম করা সত্যি ৷বয়ানে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে ডেভিড, ডায়নাকে জানায় যে তার থেকেএকটি বড় ভুল হয়ে গিয়েছে ৷ জোন্স নামে আরও এক মহিলার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয় ৷ কিন্তু ডেভিড জানায় যে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত এবং ডায়না যা বলবে তাই করতে সে রাজি ৷
ডায়না জানায় সে সব কিছু ভুলে যেতে রাজি ৷ কিন্তু তার জন্য প্রমাণ দিতে হবে ডেভিডকে যে সে শুধু ডায়নাকেই ভালোবাসে ৷ আর তার জন্য জোন্সকে হত্যা করতে হবে ৷ ভালোবাসার প্রমাণ দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায় ডেবিভ এবং দু’জনে মিলে একটি প্ল্যান করে ৷ ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সালে রাইডে নিয়ে যাবে বলে জোন্সকে পিক আপ করতে যায় ৷ সেই সময় গাড়িতে ডায়নাও ছিল ৷ গ্রান্ড পেরি এলাকায় গাড়ি থামাতেই ডায়না হামলা করে জোন্সের উপরে ৷ সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করতে গুলি করে তাকে হত্যা করে ডেভিড ৷ এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় দু’জনে ৷ জোন্সের গুলিবিদ্ধ পরে পুলিশ উদ্ধার করলেও খুনের কিনারা তারা করতে পারেনি ৷ কিন্তু ১৯৯৫ সালে সমস্ত সত্যি সামনে চলে আসে একটি খেলার মাধ্যমে ৷ এরপর ডেভিড ও ডায়নাকে অ্যাকাডেমি থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয় ৷