খালেদাকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য বললেন হানিফ
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ এবং বর্তমানে রোহিঙ্গাদের নিয়েও প্রতিহিংসা করছে তিনি। প্রতিহিংসা না করে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিললনায়তনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানের সংকট নিরসনে আলোচনা সভা ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ আরও বলেন, ২০০৪ সালের জনসভায় মধ্যে গ্রেনেড হামলা করে আমাদের ২৪ জন নেতাকে হত্যা করেছেন। সেই সময় আমাদেরকে মামলা দিতে দেন নাই। নিহত আত্মীয়দেরকে তাদের মুখ দেখতে দেননি।
সংসদের মধ্যে খালেদা জিয়া রসিকতা করে তখন বলেছিলেন শেখ হাসিনা নাকি নিজের হাত ব্যাগে করে গ্রেড নিয়ে গিয়ে ছিলো। তিনি নাকি নিজে আত্মহত্যা করার জন্য এই হামলা করেছেন।
খালেদাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছেন। তা আপনি ভুলে গেছেন আমরা ভুলে যাইনি।
বেগম জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাকে মামলা দেয়নি। আপনি ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের দুর্নীতির মামলার আাসামি হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামে দুর্নীতির মামলা হয়ে আসামী হলে দেশের সম্মান আর থাকে না। আমরা চাই আপনি সঠিক তথ্য দিয়ে মামলা শেষ করে দেশের সম্মান রক্ষা করবেন। নিজে নির্দোষ করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, আপনি গতকাল বলেছেন, এটা নাকি রাজনৈতিক মামলা। বঙ্গবন্ধুও রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছেন। তার সাথে আপনি নিজেকে তুলনা করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করার জন্য পাকিস্তানের মামলার আসামি হয়েছিলেন। কিন্তু আপনি দুর্নীতির মামলার আসামি হয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে মিলানো খুবই দুঃখজনক বলে জানান তিনি ।
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাও. ইসমাঈল হোসাইন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
কামরুল ইসলাম বলেন, কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা কখনো জঙ্গিবাদ করে না। বিএনপি, জামায়াত-শিবির সব সময় ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের কাছে ইসলাম নেই। তারা রোহিঙ্গাদের নিয়েও ষড়যন্ত্র করছে। তারা রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে চান। ২০১৪- ১৫ সালের বর্বরতা আর দেখতে চাই না। পেট্রোল বোমা মেরে কত মানুষকে হত্যা করেছে। সেই চিত্র আর দেখতে চাই না।