আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকী। নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন- দুই শিবিরেই এখন উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এ উত্তেজনায় বাড়তি পারদ যুগিয়েছে সারা দেশব্যাপি পরিচালিত এবিসি নিউজ এবং ওয়াশিংটন পোস্টের পরিচালিত সর্বশেষ জরিপ; যেখানে প্রচারণার শুরু থেকেই পিছিয়ে থাকা ট্রাম্প জনসমর্থনে প্রায় হিলারির সমানে-সমান হয়ে গেছেন। এমনকি দু’একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গরাজ্যে হিলারিকে ছাড়িয়ে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ তো গেলো শুধুমাত্র আমেরিকায় দুই প্রার্থীর জনসমর্থনের কথা। আর বাকী দুনিয়া?
যদিও আমেরিকান ছাড়া দেশটির নির্বাচনে অন্য কারো ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। তবুও সারা বিশ্বের প্রায় ৭.১ বিলিয়ন মানুষই এই নির্বাচনের দ্বারা কিছুমাত্রায় প্রভাবিত হয় বলে বিশ্বাস করেন গবেষকরা। তাই এই নির্বাচনে দৃষ্টি রাখে পুরো পৃথিবী।
সারা পৃথিবীব্যাপি মানুষের এই আগ্রহের কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি এক জরিপ চালিয়েছিলো ‘উইন-গ্যালাপ’। বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা আমেরিকার প্রায় ২৬ লাখ ভোটার এই জরিপের আওতায় ছিলেন না। আগস্ট থেকে সেপ্টম্বরের মধ্যে বাছাই করা ৪৫টি দেশে এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে ৪৪ দেশের মানুষই হিলারিকে এগিয়ে রেখেছে। তবে শুধুমাত্র রাশিয়ায় হিলারির চেয়ে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রম্প।
গ্যালাপের জরিপ অনুযায়ী, জনসমর্থনে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যাবধানে এগিয়ে আছেন পর্তুগালে। জরিপে ছিলো বাংলাদেশও। এদেশে প্রায় ৫৪ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন হিলারি। হিন্দুদের প্রতি নানা উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য দিয়েও ভারতে ২২ শতাংশ ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। এগিয়ে থাকা ৪৪ দেশের মধ্যে হিলারি সবচেয়ে কম ব্যবধানে (৯ শতাংশ) এগিয়ে আছেন চীনে। পাকিস্তানেও হিলারি ৩৪ শতাংশ ব্যাবধান রেখেছেন। তবে, ২৩ শতাংশ ব্যবধানে জরিপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র দেশ হিসেবে কেবল রাশিয়ায় এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, এ বছরের শুরুতে শিল্পোন্নত দেশগুলো অর্থাৎ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি জরিপ চালিয়েছিলো জরিপ সংস্থা ‘ইউগভ’। এই দেশগুলোর মধ্যেও ফলাফলটি একই। একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়ায় ২১ শতাংশ ব্যাবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। বাকী দেশগুলো যথারীতি হিলারিকেই এগিয়ে রেখেছিলো। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে (৫৪ শতাংশ) মেক্সিকোতে এগিয়েছিলেন হিলারি।
এসবতো গেলো ভিনদেশীদের সমর্থনের কথা। এসবে বয়েই গেছে ট্রাম্পের। নিজ দেশে সত্যিকারের ভোটাররা শেষ সময়ের জরিপগুলোতে অনেকটা এগিয়ে এনেছেন ট্রাম্পকে। বলা যায়, হিলারির সমানে সমান। এবার একটি জম্পেস নির্বাচন তথা চূড়ান্ত ফলাফল দেখার অপেক্ষা।
দ্য হিল