আন্তর্জাতিক ডেস্ক :শেষ পর্যন্ত আইএস নিয়ন্ত্রিত মসুল নগরীতে প্রবেশ করেছে ইরাকের সেনাবাহিনী। ২০১৪ সালের জুন মাসে জঙ্গিদের হাতে নগরীটির পতন হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে সেনাবাহিনী প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইরাকের পদস্থ সেনা কমান্ডার জেনারেল উয়িসাম আরাজি জানিয়েছেন, কাউন্টার টেররিজম সার্ভিসের সেনারা সোমবার মসুল শহরের পূর্ব দিক দিয়ে আল-কারামা এলাকায় ঢুকে পড়েছে। সেখানে দায়েশ (আইএস) জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারি সেনাদের সংঘর্ষ চলছে।
মসুলের পূর্ব অংশ দিয়ে ঢুকে পড়া সন্ত্রাস বিরোধী বাহিনীর ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে ইরাকি সেনাবাহিনী। ড্রোন থেকে তোলা এ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি মহাসড়ক দিয়ে ট্যাংক ও অন্যান্য সাঁজোয়া যান নগরীতে প্রবেশ করছে।
এর আগে ইরাকের জয়েন্ট অপারেশন্স কমান্ড জানিয়েছিল, মসুল নগরীর পূর্ব সীমান্তে ত্রিমুখী হামলা চালিয়েছে কাউন্টার টেররিজম সার্ভিস। কর্মকর্তারা বলছেন, কারামা এলাকায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে গাড়িবোমা ব্যবহার করছে জঙ্গিরা।
এদিকে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি সোমবার মসুল অভিযানের ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, মসুল থেকে যাতে দায়েশ জঙ্গিরা পালিয়ে যেতে না পারে সেনাবাহিনী সে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি উগ্র জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ অথবা মৃত্যুর যে কোনও একটি পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা সাপের মাথা কেটে ফেলব।”
গত ১৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে মসুল উদ্ধার অভিযান শুরু করে ইরাকের সেনাবাহিনী। শুরুতে সরকারি সেনারা নগরী থেকে বেশ কিছু দূরে অবস্থান করছিল। গত তিন সপ্তাহে তারা আশপাশের ছোট শহর ও গ্রামগুলো জঙ্গিমুক্ত করে। এবার মূল শহরে সেনাবাহিনীর ঢুকে পড়ার ঘটনা মসুল মুক্ত করার অভিযানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী মসুল দখল করেছিল দায়েশ সন্ত্রাসীরা। ওই নগরী দখলের পর দায়েশ নেতা আবু বকর আল-বাদদাদি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো নিয়ে খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল।