আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া॥ আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণাবড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের শিকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের একটি প্রতিনিধি দল। দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম. এনামুল হক শামীমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি, গোলাম কবির রব্বানী চিনু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থদের শান্তনা দেন এবং বিভিন্ন সহায়তার আশ্বাস দেন। প্রতিনিধি দলের প্রধান এ.কে.এম. এনামুল হক শামীম উপস্থিত সংবাদিকদের জানান, নাসিরনগরের বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ ফোরাম থেকে তদারকি করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস (৩০) নামে এক যুবক পবিত্র কাবা ঘরের উপর মহাদেবের প্রতিমা বসিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার দিনভর নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় রবিবার উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ চলাকালে একদল লোক বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এসময় কয়েকটি মন্দিরেও ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্দ লোকজন। এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদেও জানান, এখন পর্যন্ত ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।