নিউজ ডেস্ক : বিচার বিভাগের বিভিন্ন কাজে ধীরগতির জন্য ‘দ্বৈত শাসন’ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্যের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। তার বক্তব্যটি আমি পড়েছি। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি।’
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার (৩১ অক্টোবর) এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রয়েছে।
অপরদিকে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। এর ফলে অধস্তন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি, বদলি ও শৃংখলামূলক কার্যক্রম সুপ্রিমকোর্টের পক্ষে এককভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্যপদে সময়মতো বিচারক নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচারকার্য বিঘ্ন ঘটে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়।’ এ প্রেক্ষাপটে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুনঃপ্রবর্তন করা ‘সময়ের দাবি’ বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বিভাগে কাজের স্বাধীনতা হচ্ছে বড় জিনিস। প্রধান বিচারপতি তার বাণীতে যে প্রস্তাব দিয়েছেন এটা আমার কাছে অর্থবহ মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। প্রয়োজনে ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা যেতে পারে।
আমি প্রধান বিচারপতিকে অনেক সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তিনি তার বাণীতে যা বলেছেন তার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। তিনি বিভিন্ন মামলার উদাহরণ দিয়ে বলেন, সরকার বিচার বিভাগের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না, বলেন আইনমন্ত্রী।