নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে আগাছামুক্ত করতে চাই। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে আগাছামুক্ত করতে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। পরগাছামুক্ত করে দলকে আরও গতিশীল করতে চাই।
তিনি বলেন, আমি গর্বিত, আমি আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছি বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছ থেকে। এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আমার জীবনে আর কিছুই নেই। আমি রাজনীতিতে যে ত্যাগ করেছি, যে পরিশ্রম করেছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমার ত্যাগের জন্য, আমার কাজের জন্য, আমার পরিশ্রমের জন্য পুরস্কার দিয়েছে। যা আমার জীবনে সবচেয়ে, আমার রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয়।
তিনি বলেন, আমি শেখ হাসিনার হাতে গড়া দেশের কর্মী, দলের কর্মী। আমি যখন মন্ত্রীর কাজ করি তখনও কর্মী, আমি যখন দলের কাজ করি তখরও আমি কর্মী।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সবার প্রিয় মানুষ, শ্রদ্ধেয় মানুষ, বাংলাদেশে যিনি আজ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ভিশনারি ডায়নামিক লিডার শেখ হাসিনা। তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক। রাষ্ট্র্র নায়ক ও পলিটিশিয়ানের মাঝে ডিসটিংকশন করা উচিত এবং এটিই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, পলিটিশিয়ান রাজনীতি ও পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন। পালিটিশিয়ানের ভাবনা পরবর্তী নির্বাচন আর রাষ্ট্র নায়কের ভাবনা পরবর্তী জেনারেশন।
শেখ হাসিনার প্রশংসা করে কাদের আরো বলেন, আজকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের পার্টিকে ছাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক দূর, অনেক উচুতে। জনপ্রিয়তায় আমাদের দল আওয়ামী লীগ আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা থেকে অনেক পিছিয়ে। আমার প্রথম কাজ হবে শেখ হাসিনার মত ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আমাদের সরকার যতটা শক্তিশালী, আমাদের দলকে ততটা শক্তিশালী করতে হবে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, তাবিজ বা পানি পড়া দিয়ে সংগঠন চালানো যাবে না। কর্মসূচি দিতে হবে। জনমত সৃষ্টি করতে হবে। সারাদেশে যুবলীগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, কর্মীর কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে নেতা হওয়া গেলেও নেতা থাকা যায় না। এ জন্য নেতা না হয়ে দলের ম্যানেজার হতে হয়। রাজনীতিতে ম্যানেজ করতে হয়। এখানে বাহুবল বা পেশিশক্তির স্থান নেই।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঢাকা-লন্ডন দ্বিমুখী নীতির কবলে পড়ে বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। এটি এখন বক্তৃতা বিবৃতির দলে পরিণত হয়েছে। জিয়াউর রহমান ছিলেন অপরাজনীতির মস্তিস্ক আর এরশাদ ছিলেন হৃদপিন্ড। বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সোয়া কোটি ভুয়া ভোট তৈরির কারিগর। আর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের রাজনীতি করছেন। তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুঃখী মানুষের মূখে হাসি ফুটিয়েছেন।
সভায় সংগঠনের ৭৫টি জেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়কগণ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।