সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : “ থাকলে শিশু বিদ্যালয়ে, হবে না বিয়ে বাল্যকালে। থাকলে শিশু লেখা পড়ায় সফল হবে জীবন গড়ায়।” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই সরাইলে ‘বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানিকে লাল কার্ড শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের (ইউজেডজিপি) সহায়তায় অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে গত রবিবার বিদ্যালয় চত্বরে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাহিদা হাবিবার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ শেখ সাদী। বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ানম্যান এডভোকেট আবদুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মোঃ কুতুব উদ্দিন ভ’ইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ শাহেদ মিয়া, মোঃ বোরহান উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুল, আ’লীগের সভাপতি আবু তালেব, কাজী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও সাংবাদিক মোঃ শফিকুর রহমান প্রমূখ। প্রধান অতিথি বলেন, বাল্যবিবাহ ও যৌন হয়রানি বর্তমানে একটি মারাত্বক ব্যাধি। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ এক হয়ে এর ভয়াবহ কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এ লক্ষ্যে জসপ্রতিনিধি, শিক্ষক, উকিল, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, স্থানীয় কাজী ও বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ ক্রয় বিক্রয় বন্ধ করতে হবে। উকিল নামধারী কিছু নরপশু আছে। এরা টাকা বিনিময়ে সকল কুকর্মই করে থাকে। অভিভাবকরা কন্যা শিশুদের বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দেন। এতে বিয়ে বন্ধ না করলে প্রশাসন সহ সকল সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা নেয়ার উপদেশ দেন। পরে তিনি বাল্যবিয়ে ও যৌন হয়রানিকে না বলে দাঁড়িয়ে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। অরুয়াইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী ও শতাধিক অভিভাবক এ কাজে অংশ গ্রহন করেন। সবশেষে বাল্যবিয়ের বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের অভিনয়ে শিক্ষক এম এ রহমানের রচনায় ও পরিচালনায় “কতফুল ঝরে যায়” নামের একটি নাটক মন্তস্থ হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন সহকারি শিক্ষক বাবু শ্রীমন্তু চক্রবর্তী।