নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে শিশু হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা।সোমবার বিকেলে সংস্থার পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবর মাসে দেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক কোন পরিবর্তন হয়নি। সংস্থার মাসিক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে এ চিত্র সামনে আসে। এ মাসে শিশু হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। এছাড়াও নারী ধর্ষণ, গণধর্ষণ, পারিবারিক ও সামাজিক কোন্দলে আহত ও নিহত, গৃহকর্মী নির্যাতন ও খুন, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনাগুলি ছিল উল্লেখযোগ্য।
মোট ৪৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদের মধ্যে শিশু ১৯ জন। ১৪ জন নারী। ১০ জন নারী গণ-ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় একজনকে। হবিগঞ্জের বাহুবলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোড়পূর্বক রাতভর গণ-ধর্ষণ করে একদল দুর্বৃত্ত। দিনাজপুরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা সারাদেশে নিন্দার ঝড় তোলে এ মাসে। তাছাড়া ১৪ জন নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে এ মাসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অক্টোবর মাসে ১৫ শিশুকে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের শিকার হয় ১০ জন শিশু। সিলেটে স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরে বাবা খুন করে তার দুই সন্তানকে। রাজধানীতে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে এক রিক্সাচালকের শিশু কন্যাকে হত্যা করে পাওনাদার।
মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে একদিকে যেমন দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে অন্যদিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গিকার তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন, আইনের সঠিক প্রয়োগ, অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নৈতিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন পর্যায়ে কাউন্সিলিং, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ভালো কাজের জন্য পুরস্কার, সামাজিক সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম স্কুল-কলেজগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, মিডিয়ায় এসব পরীক্ষামূলক সম্প্রচার ইত্যাদির মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব বলে মনে করে সংস্থাটি।