নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এমএ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন। আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ ডিসেম্বর ঠিক করেছেন আদালত।
মামলায় আসামিরা হলেন- ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সাংসদ হান্নান, হান্নানের ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩) গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আসামি মো. ফখরুজ্জামান (৬১), মো. আব্দুস সাত্তার(৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী(৬৩) পলাতক রয়েছেন।
সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। আদালতে আজ শুনানি করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর এই ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গত ১১ জুলাই এই আটজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় পরের দিন রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন।
চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুমসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। তবে আদাতে আজ অভিযোগ দাখিল করার সময় আরও একটি অভিযোগ সংযুকক্ত করে ছয়টি দাখিল করা হয়।
২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। তদন্ত সংস্থা ওই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু করে এবছরের ১১ জুলাই তা শেষ করে।
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন গ্রেপ্তার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে।
২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। তদন্ত সংস্থা ওই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু করে এবছরের ১১ জুলাই তা শেষ করেন।