নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাতের আধারে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করে তান্ডব লিলা চালিয়ে উত্তেজিত কিছু লোকজন । রোববার রাতে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দির ভাংচুর করা হয়েছে। এতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ হামলা ভাংচুরের ঘটনায় সোমবার অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তিদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। সোমবার দুপুরে জিজ্ঞসাবাদের জন্য মৌজপুর এলাকার লাহু মিয়া ও আব্দুল হক নামে দুই যুবক কে আটক করেছে।
রোববার রাতে একদল উত্তেজিত লোক উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলি গ্রামের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবতার আখড়া, আদাঐর ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের দূর্গা মন্দির একই গ্রামের কৃষ্ণ চৈতন্য মন্দির, আন্দিউড়া ইউনিয়নের হরিশ্যামা পাল পাড়ার মন্দির , আউলিয়াবাদ গ্রামের অনন্ত গোসাইয়ের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করেছে । সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলাম , হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার জয় দেব কুমার ভদ্র ,ডিবি পুলিশের ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান ঘটনাস্থল গুলো পরিদর্শন করেছেন। এদিকে সোমবার দুপুরে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের লোকজন রসরাজ দাসের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঘটনার পর থেকে সনাতন ধম্বলম্বীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এদিকে আইন শৃঙ্গলা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিশেষ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
ঘিলাতলী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবতার আখড়ার পুরোহিত শংকর ভট্রাচার্য্য বলেন কিছু লোক রাত ৯ টার দিকে দা, লাটি , শাবল নিয়ে মিছিল দিয়ে আখড়ায় হামলা করে। এ সময় তিনি ভয়ে পালিয়ে যান। তার ঘর থেকে স্বনালংকার সহ মূল্যবান জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে গেছে। থানার উপ- পরিদর্শক(এসআই) মমিনুল ইসলাম জানান, মন্দিরে ও বাড়িঘরে হামলার ব্যাপারে জিজ্ঞসাবাদের জন্য ২ যুবক কে আটক করা হয়েছে।
থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, মন্দিরে বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় এসআই গিয়াস উদ্দিন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফেইজবুকে কাবা শরিফে আপত্তিকর ছবি আপলোড কারীর ফাসির দাবিতে রোববার বিকেলে মাধবপুরে আহলে সুন্নাতওয়াল জামাত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
প্রতিবাদ সভা চলাকালিন সময়ে একদল যুবক উপজেলা সদরের ঝুলন মন্দির ও কালি মন্দিরে হামলা করে ভাংচুর করে।