g হঠাৎ হিন্দুদের বাড়িঘর মন্দিরে ভাঙচুর আগুনের পেছনে কারা জড়িত | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রবিবার, ২২শে অক্টোবর, ২০১৭ ইং ৭ই কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ হিন্দুদের বাড়িঘর মন্দিরে ভাঙচুর আগুনের পেছনে কারা জড়িত

AmaderBrahmanbaria.COM
নভেম্বর ৬, ২০১৬

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে হঠাৎ কেন মন্দিরে হামলা— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের পর একে একে আরও বেশ কয়েকটি জেলার মন্দিরে হামলার ঘটনায় এমন প্রশ্ন এখন সর্বমহলে। দেশের বিশিষ্টজনরা এই হামলাকে উগ্র মৌলবাদীদের কাজ বলে মনে করেন। আবার অনেকেই এ হামলাকে সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের নতুন সংস্করণ বলে মনে করছেন। কেউ কেউ বলছেন, দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। হামলার মাধ্যমে হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আকস্মিক মন্দিরে মন্দিরে হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। হামলার ঘটনা বাড়তে থাকায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে। তারা এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রায় ১৫টি মন্দির ও ৬০-৭০টি হিন্দু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। গত ৩০ অক্টোবর ইংল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচে হারানোর পর সারা দেশ যখন আনন্দে ভাসছিল, ঠিক তখনই নাসিরনগরের এই মন্দির ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মন্দির ভাঙচুর এক স্থানেই আর সীমাবদ্ধ থাকেনি। তড়িৎ গতিতে আরও বেশ কয়েকটি জেলায় একই ঘটনা ঘটতে থাকে।

হামলাকারীদের বিচার দাবিতে সারা দেশে সোচ্চার হয় মানুষ। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন রাজপথে নামে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারাও বিচারের দাবিতে সোচ্চার। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ঘটনার পাঁচ দিন পর আবারও নাসিরনগরে আগুন দেওয়া হয় হিন্দুদের বাড়িতে। এসব ঘটনা নিয়ে রাজপথে তোপের মুখে পড়েন সরকারদলীয় এক নেতা। পদত্যাগ দাবি করা হয় এক মন্ত্রীর। যোগাযোগ করা হলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেছেন, নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা মূলত মৌলবাদী আক্রমণ। বর্তমানে মৌলবাদীরা সাংগঠনিকভাবে দুর্বল। তাই তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন হামলা করছে। এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে বিশ্বের কাছে যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে তা এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ করতে মৌলবাদীরা এই হামলা করছে। কেননা উন্নয়নের সঙ্গে নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা কালিমা লেপে দিতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলার বিষয়ে প্রশাসনের প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল। প্রশাসনের দুর্বল মানসিকতাও এসবের জন্য দায়ী। কেননা প্রশাসন যখন সমাবেশ করার অনুমতি দিল তখন তাদের প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল। অন্যদিকে স্থানীয় এমপিরাও এসব বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া হামলার পেছনে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ, ভূমি দখলসহ নানা বিষয়কে পুঁজি করে মৌলবাদীরা এসব করছে।  এ ধরনের হামলা প্রতিহত করার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোরভাবে এসব দমন করতে হবে। স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে তাদের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে কাজে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ এমন হামলাকে পছন্দ করে না তারাও বন্ধন সৃষ্টি করতে ভূমিকা রাখবে। মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশি কবীর এই হামলার পেছনে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী জড়িত বলে মনে করেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হামলা নিয়ে যে ধরনের অপ্রীতিকর বক্তব্য দিয়েছেন তা সহিংসতাকে আরও বেশি উসকে দিয়েছে। এ ইস্যুতে মন্ত্রী যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন এর পরই আবার দ্বিতীয় দফা আক্রমণ চালানো হয়। খুশি কবীর বলেন, নাসিরনগর পরিদর্শন করে আমি খুবই মর্মাহত ও হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশে এই চিত্র আমাদেরকে এভাবে দেখতে হবে তা ভাবিনি। আমরা ঘটনার পরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিদর্শনে যাই। সেখানে হামলার শিকার স্থানীয়দের কষ্ট, বেদনা ও আস্থাহীনতা দেখেছি। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন ছিল তারা কি এই দেশে থাকতে পারবেন! তাদের মধ্যে এখন এক ধরনের অনিশ্চয়তা, আশ্রয়হীনতা ও ভীতি তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতি আমাদের দেশ ও রাষ্ট্রের একটি ভয়ঙ্কর অবস্থা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। যা আমাদের জন্য ভীষণ নেতিবাচক। আমরা দেখেছি বাচ্চাদের মধ্যে তুলনামূলক আতঙ্ক বেশি ছিল। সেখানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। সব জায়গাতেই হারমোনিয়াম নামক বাদ্যযন্ত্রটি ভাঙা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, যারা আক্রমণ চালিয়েছে তারা উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সরকারকে অস্থিতিশীল করতেই পরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হামলা করেছে। তারা নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা করেও যখন সফল হয়নি তখন এই পথ বেছে নিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের নতুন সংস্করণ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা। তিনি বলেন, তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে দেশ-বিদেশের কাছে প্রমাণ করতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার আমলে দেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। ঘটনার মূল নায়ক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নানসহ ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনামুল হক শামীম বলেন, ঘটনার একদিন পরেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সেখানে ছুটে যাই। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি এবং বুঝেছি তা হলো— এটা বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফসল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্র্রাসীরা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এখন পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিনকে নাসিরনগরে পাঠানো হয়েছে। এটা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, হাফিজের নেতৃত্বে ২০০১ সালের পর ভোলার চরফ্যাশনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।

মন্ত্রীসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি : সনাতনী সম্প্র্রদায়ের প্রতি আপত্তিজনক মন্তব্য এবং রহস্যজনক তত্পরতার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের নেতারা।

গতকাল বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের পেশাজীবী, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠকদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরে সনাতনী সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানানো হয়।

পরিষদের সভাপতি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম বাবুর পরিচালনায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, নারী নেত্রী ও সংগঠক নুর জাহান খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাব উদ্দিন, চট্টগ্রাম সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সাবেক সভাপতি রণজিত রক্ষিত, শিক্ষক সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন, প্রকৌশলী রূপক চৌধুরী, গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী শরীফ চৌহান, কবি আশিষ সেন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, আবুল মনসুর চৌধুরী মো. হাবিব, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, শিক্ষক নেতা অজিত আইচ, অশোক সাহা, অমিতাভ সেন, সাংবাদিক প্রীতম দাশ, মোরশেদুল আলম চৌধুরী, রুবেল দাশ প্রিন্স, আসিফ ইকবাল, শফিউল আলম জিকু, রবিউল ইসলাম, ডা. আর কে রুবেল প্রমুখ।

মন্দির ঘটনায় আওয়ামী লীগই জড়িত :  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে বিএনপি। ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাসিরনগরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় নেতাদের শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করেছে, তারাই এর সংগে জড়িত। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বরূপ জনসমক্ষে উন্মোচিত করায় ধন্যবাদও জানিয়েছে দলটি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গতকাল সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজউদ্দিন আহমদ (অব.) এই দাবি করেন। সরকার জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে সরকারের পদত্যাগও চেয়েছেন তিনি। এ সময় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, আবদুল আউয়াল খান, অ্যাডভোকেট ফাহিমা মুন্নী, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেজর হাফিজ বলেন, ‘আওয়ামী লী?গের তিন নেতাকে বহিষ্কারের মাধ্যমে বর্বর এ হামলায় কারা জড়িত তা উন্মোচিত হয়েছে। দেশবাসীর কাছে বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ সেখানে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। আমরা চাই, যেসব লোক হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে তাদেরও এক?টি তা?লিকা করে তাদের বিচার করা হোক।’ তবে ঘটনায় জড়িতদের স্বরূপ উন্মোচিত করায় বর্তমান ‘অনির্বাচিত’ সরকারকেও ধন্যবাদ জানান বিএনপির এই নেতা।

এই বিএনপি নেতা বলেন, নাসিরনগর সদরের ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আরও দুজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে তাদের দল। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে কারা এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মূল হোতা। গত সাত বছরে দেশে এ ধরনের যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে। নাসিরনগরের প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের জন্য হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনেরও দাবি জানান মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, নাসিরনগরে প্রথম হামলার ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলা যেতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে ছয়টি বাড়িতে নতুন করে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করে বলেছেন, হামলা হয়েছে দুপুর ১টার দিকে আর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে বিকাল ৫টার দিকে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তত্পর হলে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। সূত্র: বিডি-প্রতিদিন

এ জাতীয় আরও খবর