এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, দক্ষিণাঞ্চল থেকে ফিরে : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট সহ ১০ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারসহ সর্বত্র পাওয়া যায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল। যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসেবে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এটির সংখ্যা। ফলে হাজার হাজার বেকার যুবক চালকদের কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক ।
আমাদের বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবিরের পাঠানো তথ্যর ভিতিতে জানা যায় সরেজমিনে বাগেরহাটে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে কয়েক’শ ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলা উপজেলায় চলাচল করছে। বর্তমানে পেশাটির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে গড়ে উঠছে মোটরসাইকেল বিক্রির শো’রুম। এসব শো’রুম থেকে নগদ বা সহজ কিস্তির মাধ্যমে মোটরসাইকেল নিয়ে অনেকেই এখন উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন।
একাধিক চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে অনেকেই কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন আবার অনেকে পরিবারের অশান্তির কারণ ছিলেন। এখন তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন।
চালক খোকন শেখ জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সঠিকভাবে চালালে ৫শ থেকে ৬শ আয় করা যায়। এ আয় দিয়ে সুন্দরভাবে সংসার চলছে। সংসারে আর অশান্তি নেই।
চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির লাইসেন্স প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আলিম নামে এক চালক জানান, আমরা গরিব মানুষ, কিস্তিতে মোটরসাইকেল নিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাই। লাইসেন্স করবো কি করে?
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাজারের হাফিজুর রহমান শেখ , মো. রাজু শেখ, কবীর, বাচ্চু, আব্দুল মালেক মো. কাদের শেখ , দেলোয়ার শেখ. হাসান সরদার , মো. নান্না ফকির , তৌহিদুল , লিটন , তারিকুলসহ প্রায় সকল মোটরসাইকেল চালক জানান, উপজেলায় ভাড়ায় চালিত যত মোটরসাইকেল রয়েছে তার মধ্যে মোরেলগঞ্জ বাজারে বেশি। তাই উপজেলার সকল ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের নিয়ে বিন্যাকুড়ি বাজারে মোটরসাইকেল চালক সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা প্রত্যেকেই এ পেশায় এসে পরিবারের আশা-ভরশার একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাড়িঁয়েছি। সমিতি হলে প্রত্যেক চালক ও মোটরসাইকেলকে লাইসেসেন্সের আওতায় আনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাগেরহাট জেলার সচেতন মহল জানায়, এ এলাকার ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের অনেকেই কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আবার অনেকে পরিবারের অশান্তির কারণ ছিলেন। তারা এ পেশায় যুক্ত হয়ে সুন্দরভাবে সংসার চালাচ্ছে। সংসারে শান্তি ফিরে এসেছে।