আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্টিলের প্লেট ও গ্লাস দিয়ে কারারক্ষীর গলা কেটে কারাগারের পাঁচিল টপকে বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যে আট বন্দি পালিয়েছে, তারা সবাই ভারতের নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার (সিমি) সদস্য। দেশটির মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভোপালে গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
ভোপাল পুলিশের উপমহাপরিদর্শক রামন সিং জানান, জেল থেকে পালানোর সময় স্টিলের প্লেট ও গ্লাস দিয়ে জেলের রক্ষী রামাশঙ্করকে গলা কেটে খুন করে বন্দিরা। এর পর বিছানার চাদর দিয়ে দড়ি পাকিয়ে জেলের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায়। জেল থেকে পালানো মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই আট সিমি সদস্যের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর আজ সোমবার সকাল থেকে ভোপালজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোপালের বিভিন্ন রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে কড়া নজরদারির মধ্যে পলাতক ‘জঙ্গিদের’ খোঁজ শুরু হয়েছে। তারা যেন শহর ছেড়ে পালাতে না পারে, তার জন্য ভোপালের বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
ভোপালের পুলিশ সুপার অরবিন্দ সাক্সেনা বলেন, জেলের এক নিরাপত্তারক্ষীকে প্রথমে বেঁধে ফেলে ওই ‘জঙ্গিরা’। এর পর জেলের প্রধান কনস্টেবল রামাশঙ্করকে বাসনপত্র দিয়ে খুন করে তারা পালিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেল থেকে পালানোর জন্য বন্দিরা দীপাবলির দিনটি বেছে নিয়েছিল। কারণ, এদিন চারদিকে বাজি-পটকার আওয়াজ হয়। ফলে তাদের অপারেশনের আওয়াজ সেভাবে কারো কানে পৌঁছাবে না।
মধ্যপ্রদেশের জেল থেকে পালানোর ঘটনা এটাই নতুন নয়। ২০১৩ সালে খান্দোয়া জেল থেকে পালিয়ে যায় সাত সিমি সদস্য। সেবার জেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুজনকে মারধর করে জেলের বাথরুমের গরাদ কেটে পালিয়ে যায় তারা। এমনকি সেবার পালানোর আগে জঙ্গিরা জেলের নিরাপত্তারক্ষীদের ওয়্যারলেস সেট ও রাইফেল চুরি করে নিয়ে যায়।