আন্তর্জাতিক ডেস্ক :যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই প্রধান জেমস কোমির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ভাঙার অভিযোগ তুলেছেন ডেমোক্রেট নেতা হ্যারি রেইড। নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের ঘটনা নতুন করে তদন্তের ঘোষণা দেয়ায় রবিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন সিনেটে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে কর্মকর্তাদের এমন কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
শীর্ষ ডেমোক্রেট রেইড এফবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে দ্বৈত ভূমিকা পালনের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, কোমি হ্যাচ অ্যাক্ট লংঘন করতে পারেন। এ আইনে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য নিজের অবস্থানকে ব্যবহার করতে কর্মকর্তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনার দলীয় আচরণের কারণে বলছি, আপনি সম্ভবত আইন ভেঙেছেন।’
রেইড কোমির বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ না করারও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের তথ্য জানার অধিকার আছে। আমি কয়েক মাস আগে এই তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের আহবান জানিয়ে আপনার কাছে চিঠি লিখেছিলাম।’
এদিকে রবিবার ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটো ল’ স্কুলের অধ্যাপক রিচার্ড পেইন্টার বলেন, তিনি অফিস অব স্পেশাল কাউন্সিলের মাধ্যমে এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। হ্যাচ অ্যাক্ট লংঘনের বিষয়টি তদন্ত করে অফিস অব স্পেশাল কাউন্সিল।
শুক্রবার নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এফবিআই প্রধান নতুন করে হিলারির ইমেইল চালাচালির ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দেন। কংগ্রেসকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি বলেন, হিলারির আরো কিছু ইমেইলের খোঁজ পাওয়ায় এফবিআই নতুন করে তা তদন্ত করবে।
কোমি বলেন, ইমেইলগুলোর গুরুত্ব আদৌ ছিল কিনা বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। সে জন্য তদন্ত দরকার এবং তদন্ত সম্পন্ন করতে ঠিক কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নতুন এই ইমেইলের বিষয়ে জানানোটা তিনি নৈতিকতা বোধ থেকে করছেন। তবে তারা সাধারণভাবে কংগ্রেসকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেনি। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে তিনি ভুল পথে পরিচালিত করতে চান না।
এদিকে এই পরিস্থিতিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিরোধী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির। ট্রাম্প বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর হিলারির ইমেইলের বিষয়টি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি। শনিবার কলোরাডোতে এক জনসভায় তিনি বলেন, হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করাটা ইচ্ছাকৃত,উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১৫ সালে প্রথম এই অভিযোগটি উঠলেও, তখন তদন্তের পর গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে এফবিআই জানিয়েছিল। সে কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।