আমিরজাদা চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পব্ত্রি কাবা শরীফ অবমাননার করে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার প্রতিবাদে ও তার ফাঁসির দাবিতে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। প্রায় কয়েক হাজার লোকের অংশ গ্রহণে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দুই পক্ষই পৃথক পৃথক ভাবে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা কাবা শরীফ অবমাননাকারী কুলাঙ্গার রসরাজের ফাঁিস দাবি জানান। মিছিল চলাকালে উপজেলা সদরে কয়েকটি মন্দির ও বাড়ি ঘর এবং বাজারের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্দ লোকজন। এসময় পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেস্টা চালায়। এসময় পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ওসি তদন্ত, ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়। পরে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সংবাদ পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো: রেজওয়ানুর রহমান, ১২ বিজিবির অধিনায়ক. কর্ণেল শাহ আলী, পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমানপিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, এলাকায় বিপুল সংখ্যক র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আব্দুল কাদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ৬জনকে আটক করে।
এদিকে এর প্রতিবাদে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কান্দিপাড়াস্থ জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার কয়েক শতাধিক ছাত্র বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে সমাবেশ করে। মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি আব্দুর রহিম কাশেমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মা. নোমান আল হাবিবী, মুফতি আব্দুল হক, শিক্ষক আতাহার আলী, ইসলামী ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি মাও. জুনায়েদ প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবী জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস(৩০) নামের এক যুবক পবিত্র কাবা শরীফ অবমাননার করে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে শনিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার টাইম লাইনে ছড়িয়ে দেয়।এ খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাবাসির মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিকালে এলাকাবাসি রসরাজ দাসকে ধরে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।