ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আধারে দুষ্কৃতিকারিরা কেঁটে নিচ্ছে ধানের জমির মাটি
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কালীশিমুল গ্রাম সহ আশেপাশের এলাকায় কৃষকের ধানের জমির মাটি কেঁটে নিচ্চেন এক শ্রেনীর দুষ্কৃতিকারিরা। এতে করে কয়েক শতাধিক একর আবাদি জমি এখন চাষাবাদের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রায় রাতেই এসব জমিতে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের অনেক জমি হচ্ছে ক্ষত-বিক্ষত। চলতি মৌসুমে এসব জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হওয়ায় শতাধিক পরিবারগুলোতে চলছে আহাজরি।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী অসংখ্য জমিতে রাতের আঁধারে একদল দস্যু প্রকৃতির লোক নৌপথে নৌকা নিয়ে এসে জমির মাটি কেটে নিচ্ছে এবং এসব মাটি স্থানীয় অসাধু চক্রের মাধ্যমে দুরবর্তী বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে। কৃষক সামছু মিয়া বলেন, সংঘবদ্ধ দস্যুরা এলোপাতাড়ি মাটি কাটার কারণে জমিগুলোতে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এসব জমিতে এখন চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নৌ দস্যুদের এই জুলুম অত্যাচারে এ ফসলি মাঠের শতাধিক জমির কৃষক এখন মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কৃষক মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে কিছু অপরাধীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছি, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার নেই। প্রতি রাতেই দস্যুরা জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসব জমিতে এখন চাষাবাদ সম্ভব নয়। যার ফলে আমাদের চোখের পানি ফেলা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, রাতের আঁধারে জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় সেই এলাকার শতাধিক জমির কৃষকের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা প‚রণ হওয়ার নয়। আশপাশের কিছু ইটভাটা এ মাটি কিনে নিচ্ছে, তারা এসব অপরাধীদের এ জঘন্যকাজে সহযোগিতা করছে। সেইসব ইটভাটার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরাইল থানার (ওসি) তদন্ত মোঃ নুরুল হক বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপ‚র্বক ব্যবস্থা নিতে অরুয়াইল ক্যাম্পের ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।