শীত আসছে, আপনি কি প্রস্তুত?
লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত সে তো যাত্রা করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন পথে প্রান্তরে ঘুরতে ঘুরতে সে এখন বাংলার অভিমুখে। কিছুদিন পরেই নামবে বাংলার বুকে। শীত বসবে আপনার ঘরে-দুয়ারে। আপনার সঙ্গে গল্প জমাবে। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আপনি উপভোগ করবেন শীতের সোনালী সকাল।
ইতোমধ্যে কেউ কেউ শীতের প্রস্তুতি পর্ব নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ছুটি কাটানোর প্ল্যান বানাচ্ছেন, কেউ ঠিক করছেন কোন কোন মেলায় যাওয়া যায়! কিন্তু তারও আগে প্রয়োজন কিছু বেসিক প্রস্তুতির। আর এ জন্য ফ্যাশন থেকে রূপচর্চা, সবকিছুই নিয়েই রইলো সময় উপযোগী কিছু পরামর্শ-
ওয়ারড্রব গোছগাছ
শীতের জন্য আলমারিটা নতুনভাবে গুছিয়ে নিন। ফুলস্লিভ টি-শার্ট বা একটু মোটা কাপড়ের পোশাকগুলো সামনের সারিতে রাখুন। জাম্পার, সোয়েটার, উলি-কট ড্রেস, লেদার জ্যাকেট পরার আগে একটু রোদে দিয়ে উষ্ণ করে নিন। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান না থাকলে এমন পোশাক বের করুন, যেগুলো মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে বা লেয়ার করে নতুন লুক পেয়ে যাবেন। পঞ্চো, হালকা শাল- এসবেই মোটামুটি ঠাণ্ডা কেটে যাবে। প্রয়োজনে নতুন কালেকশন শপিং করুন। তবে শপিংয়ে যাওয়ার আগে মাথায় রাখবেন, আপনি শহরের নাকি গ্রামের। শহরের হলে শহরে শীতকাল খুবই ছোট। সুতরাং অঞ্চল অনুযায়ী কেনাকাটা করুন। খুব দামি শীত-পোশাকে বিনিয়োগ করবেন কি না, ভেবে দেখুন।
শীতের রং
ডার্ক শেড পরার সেরা সময় শীতকাল। কালো, ধূসর, অলিভ গ্রিন, মেরুন, মাস্টার্ড ইয়েলো, ম্যাজেন্টা, প্লামের মতো রঙের পোশাক পরুন। চেক্স, টুইড পরুন। এখন আর্থলি কালারেরও বেশ প্রচলন আছে। তবে গাঢ় রং মানেই যে বোরিং মিউটেড প্যালেট হতে হবে, তা নয়। ধূসর শেডের পোশাকের সঙ্গে কালার পপ করার জন্য রঙিন স্কার্ফ ব্যবহার করুন। অনেক সময় দিনের বেলা গলা মুড়ে স্কার্ফ পরলে গরম লাগে। সে ক্ষেত্রে রেটো স্টাইলে মাথার চারপাশে স্কার্ফ পরতে পারেন।
অ্যাকসেসরি
জুতোর দিকে নজর দিন। হাই বুটস না হলেও অ্যাঙ্কেল বুটস পরতে পারেন। না হলে এখন নানা স্টাইলের ফ্যাশনেবল
স্নিকার্স পেয়ে যাবেন। কোনোটা আবার বুটসের মতোই দেখতে। ব্লক হিল্স পরতে পারেন। বা গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডেলও এই শীত-পোশাকের সঙ্গে ভালো লাগে। পা ফাটার সমস্যা যাদের বেশি, তারা নানা রকম কিউট মোজা পরতে পারেন। নি-লেংথ উলেন মোজা বা রঙিন স্টকিংস পরারও সেরা সময় শীতকাল।
ত্বক ও চুলের যত্ন
শীতকালে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে। ঘরের ভেতর ও বাইরের তাপমাত্রায় যেহেতু একটা পার্থক্য দেখা যায়, তাই ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই শুকনো হাওয়ায় ত্বক ফাটতে শুরু করে। তাই দিনে তিন-চারবার ময়েশ্চারাইজার লাগানো দরকার। মুখ ধোয়ার পর মুখে ভেজা ভাব থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান। শীতকালে শরীরের অয়েল গ্রান্ড থেকে তেল কম নিঃসৃত হয় বলে হাত-পায়ের ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। তাই গোসলের পরপরই ত্বকে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে নিতে হবে, এতে আর্দ্রভাব অনেকক্ষণ বজায় থাকে। মাঝে মাঝে ম্যানিকিউর ও প্যাডিকিউর করাতে পারেন। এসময় চুলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। আগা ফাটা, নির্জীব হয়ে যাওয়া, গ্রোথ কমে যাওয়া, জট বাধা, খুশকি ও চুল পড়া শীতকালে বেড়ে যায়। তাই চুলে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করতে হবে। সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু না করাই ভালো। ভালোমানের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।