শুক্রবার, ২রা নভেম্বর, ২০১৮ ইং ১৮ই কার্তিক, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

‘আমরা মামলার কাগজপত্র দেখি, রাজনীতি দেখি না’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।বিরোধী রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে যেমন বিচার হয় সরকারদলীয় নেতাদের ক্ষেত্রে তেমন হয় না কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি খালাস দিচ্ছি কি-না সেটা দেখতে হবে। আমি তো খালাস দেয়ার কেউ নই। এখানে রাজনীতির কিছু নেই। আমরা মামলার কাগজপত্র দেখি, রাজনীতি দেখি না।

সোমবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন তিনি।দুদকের দায়ের করা এ মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রায়ের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিক্রিয়া নেই সেই অর্থে। আপনারা রায়টা দেখেছেন। দুদক মামলা করেছে। প্রসিকিউশন টিম সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালত নিজের বিবেচনায় রায় দিয়েছেন।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি করলে বিচার হবে। দুর্নীতি করলে দুর্নীতির তদন্ত হবে। তদন্তের পর নিশ্চয়ই বিচার হবে।’প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ লাখ জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

এ মামলার অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। তারা হলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম। পাশাপাশি কাকরাইলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে থাকা ৪২ কাঠা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।হারিছ চৌধুরী পলাতক। কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।