‘দুটোই জঘন্য অপরাধ’
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ ফোনালাপ ফাঁস গত ২২ অক্টোবর রাতে। ওই ফোনালাপে শোনা যাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সঙ্গে সাংবাদিক আব্দুর রব মজুমদারের কথোপকথন।ফোনালাপ ফাঁস হওযার এসব ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা চক্রকে শনাক্ত করা হয়নি। ফলে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
গত কয়েক বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ফোন কল, বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও শমসের মবিন চৌধুরী, সাদেক হোসেন খোকা ও মাহমুদুর রহমান মান্না, মাহি বি চৌধুরী ও মাহমুদুর রহমান মান্না, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশকিছু কথোপকথন ফাঁস হয়েছে।বিবিসি বাংলার সাপ্তাহিক আয়োজন ‘প্রীতিভাজনেষু: আপনাদের প্রশ্ন, সম্পাদকের জবাব’ শীর্ষক প্রশ্ন-উত্তরের এবারের পর্বে বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।
মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নামের এক পাঠক লিখেছেন, আমরা জানি, টেলিফোনে আড়িপাতা ও তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা মারাত্মক অপরাধ। কারণ এতে একজনের ব্যক্তিগত তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে যায় এবং এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চরম বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হয়।জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ইদানীং যেসব টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হচ্ছে তার প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে এর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত এবং এদের চিহ্নিত করে সরকারের এখনই বন্ধ করা উচিত। অন্যথায় ভবিষ্যতে এর ব্যাপ্তি আরও বাড়বে এবং সরকারই বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হবে।
জিল্লুর রহমানের এই বক্তব্যের উত্তরে বিবিসি বাংলার সম্পাদক লিখেছেন, যে কোনো লোকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করে আড়িপাতা এবং তা ফাঁস করে দেয়া, দুটোই জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। এই আড়িপাতার সঙ্গে যে উচ্চপর্যায়ের লোকজন জড়িত, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি সরকারের অগোচরে কাজটি করছে, নাকি সরকারের সম্মতি নিয়েই করছে? ভাববার বিষয় বটে।সূত্র: যুগান্তর, বিবিসি বাংলা