ক্রসিং নেই ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত
---
দ্বিতীয় ভৈরব সেতু ও দ্বিতীয় তিতাস সেতু চালু হওয়ার ফলে ঢাকা থেকে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচলে আগের চেয়ে গতি বেড়েছে। ওই রুটে ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত এখন ট্রেন চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে; কোনো ক্রসিং নেই।
এতে করে ট্রেনের পরিচালন সময় (রানিং টাইম) আগের চেয়ে অনেকটা কমে এসেছে।
এই দুই সেতু চালু হওয়ার আগে পরিস্থিতি ছিল অন্য রকম। চট্টগ্রাম-ঢাকা পথে চলাচলকারী একটি ট্রেনকে ক্রসিং দিতে অন্য ট্রেনকে ভৈরব ও আখাউড়া স্টেশনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। আর এর প্রভাব পড়ত ট্রেনের পুরো সময়সূচিতে। যদিও ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইন রয়েছে।
গতকাল সেতু দুটি উদ্বোধন উপলক্ষে ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. সিরাজুল ইসলামসহ রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা থেকে সেতু দুটি উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেলপথমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক ও সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাই সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আর ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ট্রেনের কোনো ক্রসিং হবে না।
এতে সময় বাঁচবে ও যাত্রীরা চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। ’
রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, ব্রিটিশ আমলে মেঘনা ও তিতাস নদীতে রেল সেতু করা হয়। ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইন থাকলেও মেঘনা ও তিতাসে দুটি সেতু না থাকায় ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেনের বিলম্ব হতো।