অভিবাসন প্রত্যাশীদের একাংশের অনুপ্রবেশের পথ চিরতরে রুদ্ধ করতে নতুন এক নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এই নতুন নীতি অনুযায়ী নৌকা করে পৌঁছানো শরণার্থীদের আজীবনের জন্য ভিসা নিষিদ্ধ করা হবে।রবিবার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল, অভিবাসনমন্ত্রী পিটার দুতনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
প্রস্তাবিত এই নীতি আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে উঠতে যাচ্ছে। এই নিয়ম শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য হবে, শিশুদের জন্য নয়।প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, ‘এটা মানব পাচারকারীদের জন্য সম্ভাব্য বৃহত্তর ইঙ্গিত।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হাজার হাজার শরণার্থীকে গ্রহণ করেছি, এবং তা স্বেচ্ছায়। কিন্তু আমরা কোনভাবেই মানব পাচার সহ্য করবো না।তাদের জানতে হবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়া সাধারণত অভিবাসন প্রত্যাশী, শরণার্থী ও পাচার হয়ে আসা মানুষদের নাউরু ও পাপুয়া নিউগিনির মানুস দ্বীপে স্থানান্তরিত করে থাকে।
এমনকি প্রকৃত শরণার্থীদেরও অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। তারা প্রয়োজনে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে, মানুস বা নাউরু দ্বীপে বসবাস করবে অথবা তৃতীয় কোন দেশে চলে যেতে হবে তাদের।
প্রস্তাবিত এই নতুন আইন ও টার্নবুল প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়ে ওয়ান নেশন নেতা পলিনা হ্যানসন টুইটারে লেখেন, ‘সরকার ওয়ান নেশনের ইঙ্গিত গ্রহণ করছে দেখে ভালো লাগছে।’
তবে রিফ্যুজি অ্যান্ড ইমিগ্রেশন লিগ্যাল সেন্টারের ডেভিড মান বলেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।শুধু তাই নয়, এই পদক্ষেপ কার্যকরও হবে না। কেননা সবসময়ই এমন কিছু মানুষ রয়ে যাবেন যাদের পক্ষে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।’