নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াতির সাথে জড়িত মূলহোতারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।এ ঘটনায় মোট নয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও শেষ পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে যারা এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই ফাঁদে ফেলেছে তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আটক পরীক্ষার্থীদের থেকে জালিয়াতি চক্রের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটক এক শিক্ষার্থী জানান, বাবুল নামের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী তাকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেছে হোয়াটস অ্যাপসে। এছাড়াও অন্য এক শিক্ষার্থী আরো কিছু তথ্য দিলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, প্রশ্নপত্র জালিয়াতির সাথে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে। এর সাথে জড়িতদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এ এম আমজাদ বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তবে প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছার পর এবং ছাত্রদের দেয়ার পর জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা ছবি তুলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা জালয়াতি চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠায়। পরে তারা তাদের মতো করে উত্তরপত্র তৈরি করে বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য নির্ধারিত এক হাজার ৫৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ১৭০ জন। শুক্রবার ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৯৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকায় ১৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।