মলদ্বারে অনেক সময় পাইলস হয়। পাইলস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৩৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আহম্মেদ উজ জামান। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : কোন সময়ে রোগীদের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?
উত্তর : দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, অনেকে মনে করেন আমার মলদ্বারটা গরম মনে হয়, এ ধরনের অস্বস্তি বা অনেকে মনে করেন একটু ভিজে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তাতে কিছু ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে, কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। এতে রোগী দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন। তবে আমাদের দেশে দেখা যায় বেশির ভাগই দেরি করে আসে। তখন হয়তো আমরা অস্ত্রোপচারের কথা বলে থাকি।
প্রশ্ন : যারা দীর্ঘদিন ধরে এই জাতীয় রোগ পুষে রাখছে, তাদের কী কী ধরনের জটিলতা হতে পারে?
উত্তর : দীর্ঘদিন ধরে পুষে রাখলে যেটা হয়, যদি এখান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে, তাহলে সে শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করবে। তার শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেবে। এমনকি অনেক সময় সে মলত্যাগ করতে ভয় পায়। ভাবে, মলত্যাগ করতে গেলে আমার প্রচুর রক্তপাত হবে। আমরা পরামর্শ দিই, ভয় পেয়ে কোনো লাভ নেই। এর চিকিৎসা অবশ্যই করতে হবে। আর এখন যে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অস্ত্রোপচারগুলো করা হয়, এতে দেখা যায়, পাইলসটা খুব সহজেই চিকিৎসা করে দেওয়া সম্ভব। রোগীও খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
প্রশ্ন : সার্জারি করার কত দিন পর রোগী সুস্থ হোন, তার পরে আপনাদের পরামর্শ কী থাকে এ বিষয়ে?
উত্তর : আসলে পর্যায় চারে আমরা যেই অস্ত্রোপচার করি, সেটা সবাই জানেন যে মেশিনের সাহায্যে যে অস্ত্রোপচার হয়, সেটা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। সুতরাং তার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করে পরে তার সুস্থতা আসতে মোটামুটি এক মাস লেগে যায়। পরে যদি তার দ্বিতীয় পর্যায়ে বা তৃতীয় পর্যায়ে আমরা অস্ত্রোপচার করি, সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগী এক সপ্তাহে মোটামুটি সুস্থ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে পারে।
প্রশ্ন : অস্ত্রোপচারের পর আপনাদের পরামর্শ কী থাকে?
উত্তর : অস্ত্রোপচারের পর আমরা বলে থাকি, এক মাস একটু সহজ পাচ্য খাবার খাবেন, যাতে টয়লেটটা নরম থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখা এবং মলদ্বারে যাতে সে মলত্যাগ করার সময় বেশি চাপ না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। এর বাইরে সে অস্ত্রোপচার হয়ে গেলে সে রোগমুক্ত জীবনযাপন করে।