আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা ॥ নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়ি ঘর ও মন্দিরে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পরিদর্শন করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল শুক্রবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি দল নাসিরনগর গৌর মন্দির,দত্তবাড়ি মন্দির,কালিবাড়ি মন্দির,জগন্নাথ মন্দিরসহ বিভিন্ন বাড়িঘর পরিদর্শন করেন।এসময় তার সাথে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিএনপির উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান সুকন,যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহাবুবউদ্দিন খোকন,সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রোমিনা ফারজানা,কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক লেঃ কনের্ল অবঃ আনোয়ারুল আজিম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক একে আওয়াল খা কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী প্রমূখ।এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি,সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন,সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন।পরে বিএনপির নিজস্ব কাযালয় সুকন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন দেশে আজ যদি গণতন্ত্র থাকত তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না ।
উল্লেখ্য,ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে শনিবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাসকে (৩০) আটক করে এলাকাবাসি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই রসরাজের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পাশাপাশি একদল লোক বের হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ব্যাপক লুটপাটও করে। তাদের হামলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েক জন আহত হয়।খবর পেয়ে পুলিশ,বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।